স্বর্ণের দাম কমলো

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের দর বেড়েছে। একইসঙ্গে মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ফলে মূল্যবান ধাতুটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে ব্যবসাভিত্তিক প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, শিগগিরই অর্থনীতির তথ্য প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র। যার ওপর নির্ভর করে সুদের হার বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)।
সেই উপাত্তের জন্য অপেক্ষা করছেন বিনিয়োগকারীরা। তাই স্বর্ণে বিনিয়োগ কমিয়েছেন তারা। এতে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দরপতন ঘটেছে।
এ প্রেক্ষাপটে সোমবার (২৮ অক্টোবর) স্পট মার্কেটে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্কে স্বর্ণের দাম কমেছে ০.২ শতাংশে। প্রতি আউন্সে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭শ ৪১ ডলার শূন্য ২ সেন্টে। গত বুধবার সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল বুলিয়ন। ওই দিন প্রতি আউন্সের দাম ছিল ২ হাজার ৭শ ৫৮ ডলার ৩৭ সেন্টে।
মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনের সংঘাত চলছে। এতে স্বর্ণের বাজার ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম বেড়ে যায়।
একই দিনে ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্কে স্বর্ণের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশে। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে ২ হাজার ৭শ ৫৩ ডলার ১ সেন্টে।
চলতি মাসে ডলার সূচক আরো উর্ধ্বমুখী হয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলের পর যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এতে ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণ হারিয়েছে স্বর্ণ।
আলোচ্য মাসে ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি ইল্ড ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গত ৩ মাসের মধ্যে যা সর্বাধিক স্তরে পৌঁছেছে। স্বর্ণের দরপতনের নেপথ্য কারণ এটিও।
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক বহুজাতিক ব্যাংক ইউবিএসের বিশ্লেষক জিওভান্নি স্তাওনোভো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সুদের হার কমাতে পারে। এ সম্ভাবনাই স্বর্ণের দাম বেড়েছে। আমরা মনে করছি, আগামী ১২ মাসের মধ্যে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯শ ডলারে পৌঁছাতে পারে।