করের আওতায় আসছেন চিকিৎসক ও উপজেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
জেলা, উপজেলা এবং গ্রাম অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকদের ট্যাক্সের আওতায় আনতে জেলা প্রশাসকদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে এ তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, চিকিৎসক এবং আইনজীবীদের সেবার ফি রশিদ বা ডিজিটাল পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরা যে ফি নেন, তার রিসিট তো আপনারা নেন না। এই ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেয়া হয়, তাহলে এর একটি রেকর্ড থাকবে। বিদেশে এই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক।
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে। মাঠ পর্যায়ের অফিসাররা যদি দক্ষ এবং সেবক হন, তাহলে জনগণ যে সেবাটা পান সেটা কার্যকর হয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এম্পলয়মেন্টটা বাড়াতে হবে। লোকাল লেভেলে এম্পলয়মেন্ট বাড়ানো সহজ। চায়নাতে গ্রাম্য শিল্পের সাথে গভীর যোগাযোগ। চায়নার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে তৈরি হওয়া পণ্য আমেরিকার ওয়ালমার্টেও পাবেন। অথচ বাংলাদেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলের এই জিনিসগুলো যোগাযোগের অভাবে উঠে আসে না।
তিনি আরো বলেন, ডিসিরাই উত্থাপন করেছে গ্রামাঞ্চলে ব্যবসায়ীরা অনেক আয় করেন। তখন এনবিআর এ বিষয়টি নিয়ে ড্রাইভ দিতে বলেছে। আমাদের ট্যাক্সের আওতা না বাড়ালে-তো হবে না। এমনিতেই তো দাবি থাকে ভ্যাট কমান-ট্যাক্স কমান। সুতরাং ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে ট্যাক্স গ্রহণের পরিধিটা বাড়ানোর বিষয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এই ট্যাক্স নেটটা বাড়িয়ে রাজস্ব আরো বিস্তৃত করতে পারি। মোটকথা জোর করে করের পরিমাণ না বাড়িয়ে ট্যাক্সের নেট বাড়ানো হবে। আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ কিন্তু কর দেয় মাত্র পাঁচ লাখ।
চিকিৎসকদের করের আওতায় কি উদ্যোগ নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের যেসব সহকারী বসে থাকেন, তারা টাকা নেন কিন্তু রিসিট দেয়া হয় না। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ইনসিস্ট করা যে আপনারা রিসিট দেন৷ আমি তো কোনো চিকিৎসককে দেখি না তারা রিসিট দেন।