শীত নিয়ে আরো দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ছবি : সংগৃহীত
চলতি সপ্তাহে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে প্রকাশিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ওই সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। একইভাবে, রাতে তাপমাত্রা কমতে পারে দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে সার্বিকভাবে শীত বাড়তে পারে।
এছাড়া আগামী তিনদিনে রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের বেশ কিছু স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : দূষণের শীর্ষে রাজধানীর বায়ু, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, ৭ ও ৮ জানুয়ারি দেশের উত্তরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ৯ জানুয়ারি বা এরপর আবার টানা কিছুদিন তাপমাত্রা কমতে পারে। তখন মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে আসতে পারে। তবে তীব্র বা অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হবে কি হবে না তা শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার পর প্রবণতা দেখে বলা যাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশের কিছু অঞ্চলজুড়ে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর নিচে নামলে এবং তা দু-তিন দিন অব্যাহত থাকলে তখন তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মৃদু, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রির নিচে নামলে তখন সেই পরিস্থিতিকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
কিছুদিন মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশায় বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস।