কনকনে শীতে বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ এএম

ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে পাহাড়ি হিমেল বাতাস আর কুয়াশায় জেঁকে বসেছে শীত। হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে জবুথবু জনজীবন। গভীর রাত থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির ফোটার মতো কুয়াশা ঝড়ছে। তাপমাত্রা আবারো কমে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রবিবার সকাল ৯টায় যা ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। তবে রবিবারের তুলনায় তাপমাত্রা ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। সোমবার সকাল ছয়টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ ছিল, যা রবিবার ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আরো পড়ুন : ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে তেমন মানুষ নেই। ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে কাজে যেতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষ। তবে কেউ কেউ শীতকে উপেক্ষা করেই বেরিয়েছেন। অনেকে সাতসকালেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এদিকে শীতের কারণে জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ বেশি। তারা সর্দি, জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। কেউ চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। আবার যাদের অবস্থা বেশি খারাপ তারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।