বাড়ছে নদীর পানি, প্লাবিত হতে পারে যে ৮ জেলার নিম্নাঞ্চল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ পিএম

হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি এখন সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। আর এর প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে পাহাড়ি অঞ্চলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া আগামী দুদিন (শনিবার ও রোববার) চট্টগ্রাম বিভাগের সব নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।
অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে নদ-নদীর পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী ও গোমতী নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। অপরদিকে হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশে এবং উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুদিন চট্টগ্রাম বিভাগের সব নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
আরো পড়ুন : সাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা, বৃষ্টি বেড়ে কমতে পারে গরম
পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। তবে আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করছে এবং আগামী দুদিন উপকূলীয় অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে এই সময় বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীর পানি সমতল বাড়তে পারে। তবে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী পাঁচদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী তিনদিন পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। পরবর্তী দুদিন পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী তিনদিন পর্যন্ত এসব নদীর পানি সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং অন্য প্রধান নদী- মনু, খোয়াই, সারিগোয়াইন, ধলাইর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। যা আগামী তিনদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।