যা লেখা ছিলো টিউলিপের পদত্যাগ পত্রে, হুবহু তুলে ধরা হলো

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
বেশ কিছুদিন যাবত আলোচনা-সমালোচনায় রয়েছেন বাংলাদেশের পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক। হাসিানা সরকারের পতনের পর থেকে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছিু দুর্নীতির অভিযোগে উঠে আসে। এরপর থেকে গুঞ্জন শোনা যায় তার পদত্যাগের। অবশেষে সেই সমালোচনার মুখেই যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে টিউলিপ সিদ্দিককে। কিন্তু তার পদত্যাগ পত্র নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সবার এখন প্রশ্ন কী লেখা আছে তার পদত্যাগ পত্রে। কারণ বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনার পলায়নের পর তার পদত্যাগপত্র নিয়ে তুমুল হাস্যরসের জন্ম দেয়। তবে, নিশ্চিত হওয়া গেছে মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন টিউলিপ। পদত্যাগপত্রে তিনি যা লিখেছেন, তা হুবহু তুলে ধরা হলো।
প্রিয় প্রধানমন্ত্রী,
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আপনি আমার ওপর যে আস্থা দেখিয়েছেন, সে জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার অনুরোধে সাড়া দিয়ে মন্ত্রিত্বের মানদণ্ডবিষয়ক আপনার স্বাধীন উপদেষ্টা যে দ্রুততা ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কাজ করেছেন এবং আমার বর্তমান ও অতীতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জীবনযাপনের বন্দোবস্ত নিয়ে পুরো বৃত্তান্ত তুলে ধরার সুযোগ দিয়েছেন, সে জন্য আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।
যেমনটি আপনি জেনেছেন, আমার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়ের বিস্তারিত পর্যালোচনা করে স্যার লাউরি নিশ্চিত করেছেন যে আমি মন্ত্রিত্বের বিধি (মিনিস্ট্রিয়াল কোড) লঙ্ঘন করিনি। তিনি উল্লেখ করেছেন, এমনটি বলার কোনো প্রমাণ নেই যে আমার যে সম্পদ রয়েছে বা যেখানে আমি বসবাস করেছি, সে বিষয়ে আমি অনুচিত কিছু করেছি। তা ছাড়া আইনসিদ্ধ উপায় ব্যতীত আমার কোনো সম্পদ এসেছে, এমনটি বলার কোনো প্রমাণও নেই।
আমার পারিবারিক সম্পর্ক একটি প্রকাশ্য বিষয়। যখন আমি মিনিস্টার হয়েছিলাম তখন আমি আমার সম্পর্কের বিস্তারিত এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের বিষয়গুলো সরকারের কাছে তুলে ধরেছিলাম। কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যাপকভাবে আলোচনা করার পর আমি আমার স্বার্থসংশ্লিষ্টতার ঘোষণায় এটা উল্লেখ করার পরামর্শ পেয়েছিলাম যে আমার খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং স্বার্থগত দ্বন্দ্ববিষয়ক ধারণা এড়াতে বাংলাদেশ–সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি থেকে আমাকে সরিয়ে রাখার জন্য। আমি আপনাকে নিশ্চিত করছি যে এসব বিষয়ে পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং কর্মকর্তাদের পরামর্শ মোতাবেক কাজ করেছি এবং তা অব্যাহত রেখেছি।
তবে, এই পদত্যাগ পত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর খালা শেখ হাসিনার তুলনায় বোনঝি টিউলিপকে প্রশংসাই করছেন নেটিজেনরা। কারণ শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতা আকড়ে থেকে বিরোধী মতকে দমনে লিপ্ত হয়েচিলেন, তখন তার বোনঝিরি বিরুদ্ধে অভিযোগ উন্থাপনের সাথে সাথে পদত্যাগ করছেন। এমনটি যদি খালা শেখ হাসিনা করতেন তাহলে বাংলাদেশে কয়েক হাজার প্রান রক্ষা পেত বলেও লেখেন তারা।