অবশেষে ছাগলকাণ্ডের আলোচিত সেই মতিউর স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন ছাগলকাণ্ডের আলোচিত মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকি। বুধবার ভোরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এবার এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী ও তাদের ছেলে-মেয়ের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।
মতিউরের ছেলে গত বছর ১২ লাখ টাকা দামের একটি কোরবানির ছাগলের ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার পর বিতর্ক শুরু হয়। ছবিটি ভাইরাল হলে মতিউরের সম্পদের উৎস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর থেকে মতিউরের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং মতিউর ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন তার সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে।
মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা ও ছেলে তৌফিকুর রহমান অর্নবের বিরুদ্ধে ১২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনে দুদুক। ৬ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে মামলার তথ্য দিয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেছেন, তাদের সম্পদ বিবরণী জারির আদেশ হয়েছিল। পরে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যরা তা দাখিল করেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।
এর মধ্যে প্রথম মামলায় লায়লা কানিজের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগও রয়েছে। এসব সম্পদ অর্জনে মতিউরের সহযোগিতার অভিযোগ করে তাকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় ফারজানা রহমান ইপ্সিতার বিরুদ্ধে ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৪ হাজার ৬১১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলেও দুদকের অভিযোগ। এ মামলায় মা-বাবা ও ভাই অর্ণবকেও আসামি করা হয়েছে।
আর তৃতীয় মামলায় মতিউরের ছেলে অর্ণবের বিরুদ্ধে ৪২ কোটি ২২ লাখ ৫৮ হাজার ২৭১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৪৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটিতে মতিউরকেও আসামি করা হয়েছে। গত কোরবানির ঈদের সময় ‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচনায় আসেন একাদশ বিসিএসের কর্মকর্তা মতিউর রহমান।