ভারতে বসে হাসিনার দেশ বিরোধী বক্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন বিক্রম মিশ্রি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
চলতি বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন ভারতের সমর্থনে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ইতোমধ্যে দু’দেশের সম্পর্ক এখন দুই মেরুতে অবস্থান করছে। তবে, আসার বিষয় হচ্ছে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সোমবার রাষ্ট্রিয় এক সফরে ঢাকা আসেন। সেখানে দুই দেশের সম্পর্ক আরো বন্ধুত্বপূর্ন করতে একসাথে কাজ করার কথা জানান।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বক্তব্যকেই ভারত সমর্থন করে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। ১২ ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেবল হাসিনা বা একক রাজনৈতিক দল বা সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বলেও জানিয়েছেন বিক্রম মিশ্রি।
কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ব্রিফিংয়ে বুধবার পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন— বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনাকে ভারত সমর্থন করে না এবং এটি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই ছোট বা তুচ্ছ বিষয়।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে এরপরও হাসিনা ভারত থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন এবং দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে নানা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়ে চলেছেন।
এমন অবস্থায় সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি আলোচনার জন্য বাংলাদেশ সফর করেন। তার ঢাকা সফর থেকে ফেরার দুই দিন পর তিনি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফ করেন।
সেখানে বিক্রম মিশ্রি বলেন, শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত যোগাযোগের ডিভাইস ব্যবহার করে এসব বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে চলেছেন এবং ভারত সরকার তাকে এমন কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুবিধা প্রদান করছে না, যা তাকে ভারতের মাটি থেকে তার রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালানোর সুযোগ দেয়। তিনি দাবি করেন, অন্য দেশে হস্তক্ষেপ এড়ানোর জন্য ভারতের ঐতিহ্যবাহী যে রীতি রয়েছে, এটি তারই অংশ।
এসময়, বিক্রম মিশ্রি বলেন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল বা একটি নির্দিষ্ট সরকারের বাইরেও আছে এবং ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয় এবং বর্তমান সরকারের সঙ্গেও জড়িত থাকবে।