বাংলাদেশকে অস্থির করে ফায়দা লুটতে চাওয়া ভারত নিজেই নিজের ফাঁদে পড়তে পারে সেভেন সিস্টার্স ইস্যুতে। কারণ দুই দেশের এমন শত্রু সম্পকর্কে সুযোগ হিসেবে নিতে পারে ভারতের পাশের শত্রু দেশ চীন। তারা যদি সেভেন সিস্টার্স ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে তাহলে মহাসংকটে পড়বে ভারত। অস্তিত্ব সংকটে পড়বে তাদের চিকেন নেক।

ভারতের উত্তর পূর্ব রাজ্যগুলোর সঙ্গে দেশের অবশিষ্ট অঞ্চলের সংযোগ রক্ষাকারী একটি সংকীর্ণ ভূখন্ড চিকেন নেক নামে পরিচিত। এই চিকেন নেককে কেন্দ্র করে ভারতের সেভেন সিস্টার্স বারবার সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। এমনকি এখনও সেভেন সিস্টার্সের সদস্য মণিপুর রাজ্যে স্বাধীনতার আন্দোলন দমাতে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে মোদি প্রশাসন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বারবার ঘুরে ফিরে আলোচনায় আসছে ভারতের সেভেন সিস্টার্স। কারণ আশঙ্কা করা হচ্ছে- এই রাজ্যগুলো নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারে। এরই মধ্যে মণিপুরে শুরু হয়েছে আন্দোলন। প্রতিদিন মারা যাচ্ছে মানুষ। ভারতের সঙ্গে থাকতে চাইছে না মণিপুর। অশান্তি দেখা দিয়েছে অরুণাচল প্রদেশ নিয়েও। চারদিক থেকে শুধু বিপদের সংকেত আসছে ভারতের জন্য। এ নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় পড়েছে মোদি সরকার। 

ভারতের সেভেন সিস্টার্স ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে চীন- এমন সংবাদে কাঁপন ধরেছে নরেন্দ্র মোদির। সংকটে এখন মোদির গদি। ভারতের চারপাশেই এখন শত্রু রাষ্ট্র। চীন, পাকিস্তানের পর এখন শত্রুর তালিকায় যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে এমন সম্পর্ক ভারতকে বেশ শঙ্কায় ফেলেছে।

ভারতের পালিত শাসক স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের হাল ধরেন নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস। দায়িত্ব নেয়ার আগেই তিনি ভারতকে হুশিয়ার করে বলেছিলেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা হলে প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ভারতের সেভেন সিস্টার্স শান্ত থাকবে না। 

গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশকে ভূ-রাজনীতির দাবার ঘুটি বানিয়ে রেখেছে ভারত। তবে ড. ইউনূস সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বড় ধাক্কা খায় গোটা ভারত, নড়ে চড়ে বসে মোদি প্রশাসন। 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশর নিয়ন্ত্রণ নিতে একের পর এক বিতর্কিত ভূমিকায় দেখা গেছে ভারতকে। যার মধ্যে ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ গ্রেপ্তার ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর কথিত নির‌্যাতন বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে অতিরঞ্জিত খবর প্রচার করে আসছে ভারতের মিডিয়াগুলো। এতে ফাটল ধরেছে বাংলাদেশ ভারত সম্পর্কে।