×

ভিডিও

বাবরি মসজিদের পর এবার আজমির শরিফও দখল করতে চায় হিন্দুরা

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ এএম

   

রাজস্থানের আজমিরের বিখ্যাত খওয়াজা মৈনুদ্দিন চিশতির দরগাহ আসলে একটি শিব মন্দিরের ওপরে বানানো হয়েছিল বলে সেখানকার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক হিন্দু নেতা। মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে সব পক্ষকে নোটিশ জারি করেছে আদালত। হিন্দু সেনা নামের একটি সংগঠনের সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তা সম্প্রতি মামলাটি দায়ের করেছেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হরবিলাস সারদারের লেখা একটি বইয়ের সহ দরগাহ-তে যে মন্দির ছিল, তার পক্ষে তিনটি যুক্তি আদালতের সামনে পেশ করেছেন। তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেছেন যাতে তাকে ওই ‘মন্দির’এ পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়। এদিকে আজমির দরগাহ-র প্রধান উত্তরাধিকারী এবং খওয়াজা মৈনুদ্দিন চিশতির বংশধর সৈয়দ নাসিরুদ্দিন চিশতি এই মামলাটিকে “সস্তায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার কৌশল” বলে বর্ণনা করেছেন। তার কথায়, “এরা সমাজ এবং দেশটাকে ভুল দিশায় নিয়ে যাচ্ছে। দরগাহ-তে যে একটি মন্দির ছিল, তার সেই দাবির স্বপক্ষে মামলাকারী বিষ্ণু গুপ্তা তিনটি যুক্তি দেখিয়েছেন। প্রথমত:, ''ব্রিটিশ শাসনামলে আজমির পৌরসভার কমিশনার ছিলেন যে হরবিলাস সারদা, তিনি ১৯১১ সালে এক বইতে লিখেছিলেন যে দরগাহ-তে একটি মন্দির ছিল। সেই বইটিই আমার দাবির ভিত্তি।''দরগাহ-র প্রাচীর ও দরজার ওপরে যেসব নকশা আছে, সেগুলো হিন্দু মন্দিরের বলেও দাবি বিষ্ণু গুপ্তার। বিষ্ণু গুপ্তার কথায়, “দরগাহ-টিতে আসলে সঙ্কটমোচন মহাদেবের মন্দির ছিল এবং আমি দাবি করেছি যে দরগাহ-র যদি কোনও রেজিস্ট্রেশন থাকে সেটাও বাতিল করে সেটিকে সঙ্কটমোচন মহাদেবের মন্দির হিসাবে ঘোষণা করা হোক। সেখানে পুজো অর্চনা করার অনুমতি দেওয়া হোক বলে দাবি উন্থাপন করে গুপ্তা। বিষ্ণু গুপ্তা ২০১১ সালে হিন্দু সেনা নামে একটি সংগঠন শুরু করেন, যেটি হিন্দুদের ইস্যুগুলি তুলে ধরার জন্য মাঝে মাঝেই আলোচনায় উঠে আসে। গত কয়েক বছর ধরে দরগাহ কমিটি ‘দরগাহ নাজিম’ বা দরগাহ-র ব্যবস্থাপক নিয়োগ করে নি। তাই ‘দরগাহ নাজিম’এর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন সংখ্যালঘু দফতরের উপ-সচিব মুহম্মদ নাদিম। এ বিষয়ে নাদিম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “আমরা এখনও কোর্টের নোটিশ পাই নি। আদালতের নোটিশ এলে, সেটা খতিয়ে দেখে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তার কথায়, “কোনও মসজিদ বা দরগাহ-তে মন্দির আছে, সেই দাবি করে রোজই কেউ না কেউ মামলা ঠুকে দিচ্ছে। এটা ঠিক হচ্ছে না। তবে, ১৯১১ সালে লেখা যে বইটির কথা বলা হচ্ছে, সেটার কোনও বিশ্বাসযোগ্যতাই নেই। একটা একশো বছরের পুরনো বইয়ের ভিত্তিতে সাড়ে আটশো সালের ইতিহাসকে মিথ্যা প্রমাণ করা যায় না বলে মন্তব্য করেন আজমির দরগাহ-র প্রধান উত্তরাধিকারী এবং খওয়াজা মৈনুদ্দিন চিশতির বংশধর সৈয়দ নাসিরুদ্দিন চিশতি। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মন্দির-মসজিদ বিতর্ক শুরু হওয়ায় সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। রাজস্থানেও এই মামলা দায়ের হওয়ার পরে উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App