এবার পাগলা মসজিদে পাওয়া গেলো ২৯ বস্তা টাকা, হিসাব নিয়ে প্রশ্ন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
এবার কিশোগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলেছে ২৯ বস্তা টাকা, যা অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙেছে। এবার ৩ মাস ১৪ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। ৩০ নভেম্বর সকাল ৭টায় ১০টি দানবাক্স ও একটি ট্যাঙ্ক থেকে এই টাকা পাওয়া গেছে। সঙ্গে পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ৪০০ জনের একটি দল।
শনিবার সকালে মসজিদের দানবাক্স খুলে এক এক করে ২৯টি বস্তায় টাকাগুলো ভর্তি করে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় নেওয়া হয়। সেখানেই চলছে গণনা। এবার আশা করা হচ্ছে টাকার পরিমাণ গত রেকর্ডটিকেও ছাড়িয়ে যাবে। এ সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, এই মসজিদের দানবাক্সগুলো ৩ মাস ১৩ দিন পর খোলা হয়েছে। আগে ৯টি দানবাক্স ছিল ১১দিন পূর্বে আরও একটি দান সিন্দুক বৃদ্ধি করে ১০টি বাক্স করা হয়েছে। মসজিদের টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে রাখা হয় বলেও জানান ফৌজিয়া খান। তবে, এই টাকার হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। বিগত সরকারের আমল থেকে এখন পর্যন্ত সব টাকা ও সম্পদের হিসাব চায় তারা।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। সেই টাকা গণনার কাজে ২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টা গণনা করে ৭কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। এসব অর্থ তাদের মনোবসনা পুরোনের জন্যই এখানে দান করেন বলে জানান অনেকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করেন। জনশ্রুতি আছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল এই এলাকায়। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন এলাকাবাসী।
পাগলা মসজিদে নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি এমনকি বৈদেশিক মুদ্রাও দান করেন। আর এ ইতিহাস প্রায় আড়াইশ বছরেরও অধিক সময়ের বলে জানা যায়।