আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে অবৈধভাবে গড়েছেন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধংসের কারণ অনেকের জানা, ভবনের অবকাঠামো ও স্থাপনা অবৈধ হওয়াই চোখের সামনেই ঝড়ে পড়ে হাজারেরও বেশি প্রাণ।
এমনই অবৈধ ভবন নির্মাণ, গ্যাস,বিদ্যুত, পানি যেনো গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজধানীসহ আশেপাশের এলাকায়। আর ঠিক এমনই অবৈধ নিবন্ধনহীন এক আবাসিক হোটেলের সন্ধান মিলেছে মিরপুর ১এ। দারুসসালাম থানা এলাকায় দক্ষিণ বিশিল শাহআলী মাজারের সামনেই অবস্থিত হোটেল রয়েল। যেন রাজধানীর বুকে আরও একটি রানাপ্লাজা। বাইরে থেকে দেখতে চাকচিক্যময় মনে হলেও এটি যেন একটি মরণফাঁদ।
হোটেলটিতে প্রতিদিন মাজারে আসা ভক্তবৃন্দ থেকে শুরু করে অনেকে আসেন থাকতে। কিন্তু অনেক বছর ধরে চলা এই হোটেলের নেই কোনো লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, ফায়ার সার্ভিস ও ট্রেড লাইসেন্স। শুধুমাত্র একটি টিন সার্টিফিকেট দিয়েই বছরের পর বছর এভাবেই চলছে এই হোটেলটি। যা সাধারণ মানুষের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন হোটেলের ম্যানেজার সিরাজ। নিউজ না করার শর্তে অনেক অনুরোধও করেন তিনি। হোটেলটির কাগজ পত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে মালিক সুরুজ মিয়া অনেকটা চুপ হয়ে যান। কোনো ধরনের কাগজ পত্রই তিনি দেখাতে পারেননি আমাদের।
এ সময় নিজের অবস্থার উন্নতি দেখিয়ে বিভিন্ন নেতাকর্মিদের ক্ষমতার দাপটও দেখান এই সুরুজ। ক্ষমতার দাপটে শুধুমাত্র টিন সার্টিফিকেফট দিয়েই বছরের পর বছর চলছে আবাসিক রয়েল হোটেল। তবে জানা গেছে তাদের টিন সার্টিফিকেটটিও ভুয়া। যা হোটেলে থাকতে আসা ভ্রমণকারীদের জন্য ভয়ংকর ও হুমকি স্বরুপ। হযরত শাহ আলী (রঃ) মাজার শরীফের প্রধান প্রবেশপথের বিপরীতে একক মালিকানায় হোটেলটি পরিচালনা করছেন সুরুজ মিয়া। দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা নারী পুরুষের ওঠানামার সিরিয়াল লেগেই থাকে হোটেলটিতে। যেখানে কোনো ধরনের পরিচয় পত্র প্রয়োজন পরে না থাকতে আসা ভ্রমণকারীদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের টিও টেক্স অফিসার মো. মজিবুর
মিয়া বলেন, অভিযোগ সত্য হলে আবাসিক হোটেলটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা করা গ্রহণ করা হবে।
আর কোনও রানাপ্লাজা দেখতে চায় না রাজধানীবাসি। তাই ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব ভবনের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থার দাবি জানান এলাকাবাসী।