×

ভিডিও

’আইএমএফ ঋণ’ নিয়ে যে বিপদে পড়তে পারে বাংলাদেশ

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম

   

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে, বিশেষ করে এ ঋণের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর কী হবে, তা নিয়ে। ঋণটি আয়ব্যয়ের ভারসাম্য চ্যালেঞ্জ ও অর্থনৈতিক দুর্বলতা মোকাবিলার জন্য একটি সহায়ক পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপিত হলেও, বাস্তবতা ভিন্ন। প্রায়শ এ ধরনের ঋণ কিছু কঠিন শর্তের সঙ্গে আসে, যা দুর্বল জনগণের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত করে বলে মত বিশ্লেষকদের।

আইএমএফের ঋণ সাধারণত কঠোর শর্ত ছাড়া খুব কমই বিতরণ হয়, বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণটিও এর ব্যতিক্রম নয়। ঋণটির ফলে সরকারকে কৃচ্ছ্রসাধনের পদক্ষেপ নিতে হবে; যার অন্তর্ভুক্ত আছে জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং খাদ্যের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর ভর্তুকি কমানোর পাশাপাশি ট্যাক্স বাড়ানোও। এ পদক্ষেপগুলো আর্থিক ভারসাম্য স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে হলেও, তা অবশ্যম্ভাবীভাবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে।

আইএমএফ ঋণের সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক হলো অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্বের ক্ষয়। বাংলাদেশ সরকার এখন ওয়াশিংটনে তৈরি নীতিমালার অনুসরণ করতে বাধ্য থাকবে, যা প্রায়ই দেশের বিশেষ আর্থসামাজিক বাস্তবতাকে তেমন গুরুত্ব না দিয়েই আরোপিত। এ নীতিমালাগুলো সামাজিক কল্যাণের চেয়ে আর্থিক শৃঙ্খলাকে অগ্রাধিকার দেয়, যা সরকারের স্থানীয় প্রয়োজনের সঙ্গে উপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস করে বলে মনে করেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।

আইএমএফ ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা নিয়ে আসে, যা সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করতে পারলে একটি গুরুতর অর্থনৈতিক বোঝা হয়ে দাঁড়াবে বলে মত অনেকের। এমনিতেই বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ দিনকে দিন বাড়ছে, তার মধ্যে নতুন এ ঋণ সে বোঝা আরও বৃদ্ধি করবে। যদি অর্থনৈতিক সংস্কারগুলো যথেষ্ট প্রবৃদ্ধি এবং রাজস্ব তৈরি করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশ ঋণের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকিতে পড়বে, যা আরও ঋণ গ্রহণে বাধ্য করবে। উদাহরণ হিসেবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।

অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য আইএমএফের পন্থাগুলো প্রায়ই তাৎক্ষণিক রাজস্ব ও আর্থিক লক্ষ্যমাত্রার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে, যেমন বাজেট ঘাটতি হ্রাস এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু এ স্বল্পমেয়াদি পন্থাগুলো দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাপকভাবে ব্যাহত করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো পর্যাপ্ত তহবিল না পেলে দেশের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

আইএমএফের ঋণগুলো সাধারণত অর্থনৈতিক পতন এড়াতে একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপিত হলেও এর সঙ্গে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকিও জড়িত থাকে। তাই বাংলাদেশকে এ চুক্তি আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সন্তুষ্টির চেয়ে নিজের নাগরিকের  কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নইলে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে আইএমএফ ঋণ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App