হঠাৎ আলোচিত উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পরিচয় জানতে চেয়ে উত্তাল নেটদুনিয়া। রগ পরিচর্যাকেন্দ্র নামের একটি পেজ দীপ্তি চৌধুরীকে নিয়ে একটি ইভেন্ট খোলে এবং সেই ইভেন্টের নাম দেয় ‘দীপ্তি চৌধুরীর মুক্তিযোদ্ধা পিতার পরিচয় জানতে চাই’। আর এরপরেই দীপ্তি চৌধুরীর পরিবারে মুক্তিযোদ্ধা আসলে কে সেটি নিয়ে জনমনে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়,

উক্ত ইভেন্টের ডেসক্রিপশনে যুক্ত করা হয়, দীপ্তি চৌধুরী নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান বলে দাবি করেছেন। কিন্তু এতদিনেও তিনি তার পরিবারের কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দিতে পারেননি। ফলে জনমনে একটি প্রশ্ন উঠেছে—আসলেই কি দীপ্তি চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান? সত্য জানার জন্য চলে আসুন শাহবাগ চত্বরে।

এক নেটিজেন সেখানে পোষ্ট করেছেন’ দিপ্তী চৌধুরী আর যে কিবরিয়ার শো তে ক্লিয়ার করে দিয়েছে তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা না তার দাদা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আর নিজের টক শোতেও সে বলেনাই সে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বলছে "মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান"।

তানজিনা বিনতে নিদ্রা নামের এক নেটিজেন পোষ্ট করেছেন, চ্যানেল আইয়ের উপস্থাপক দীপ্তি চৌধুরীর বাবা শিবলী চৌধুরী একসময়ে ফেসবুকে সংযুক্ত ছিলেন। এখন নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার একজন প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক কর্মী। ফেসবুক আইডির তথ্য অনুযায়ী উনার জন্ম ১৯৭২ সালে। মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তানজিনা বিনতে নিদ্রার প্রোফাইল ঘুরে দেখা যায় ,তার আইডির প্রোফাইল পিকচারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের লোগো দেয়া। এমনকি তিনি বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারসহ কোটা আন্দোলনের বিপক্ষে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেক বিভ্রান্তমূলক পোষ্টও শেয়ার করেছেন।

ইভেন্ট খোলা পেজটিও পোষ্ট করে যেখানে লেখা’ বাপের বয়স ৫২ , মুক্তিযুদ্ধের বয়স ৫৩।দাদাও মুক্তিযুদ্ধ করে নাই।তাইলে যুদ্ধটা করলো কে?কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হইলো? 

অনেকেই ইভেন্টটিতে বলছেন দীপ্তি চৌধুরীর দাদা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন এরকম কোনো দালিলিক প্রমাণও কেউ পাননি। অনেকেই অভিযোগও করছেন শুধুমাত্র ধৈর্য ও ভদ্রোচিত আচরণ করে এবং মুক্তিযোদ্ধার ট্যাগ নিয়েই তিনি এখন আন্দোলনের নায়ক বনে গেলেন অথচ যারা মৃত্যুবরণ করলেন,হাত,চোখ,পা হারালেন তাদের দেখার মত ফ্যামিলি ছাড়া আর কেউ নেই।

রগ পরিচর্যাকেন্দ্র নামের পেজটি লক্ষ্য করলেও বোঝা যায় মূলত প্রোপাগান্ডা ছড়াতে খোলা হয়ে ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ের পর। সেখানে উপস্থাপিকা দীপ্তিকে নিয়ে নেগেটিভ পোষ্ট করা অনেকেই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত। কিন্তু সবকিছুর পরেও জনমনে প্রশ্নটি থেকেই যায়, আসলেই কি দীপ্তি চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান? আশা করা যাচ্ছে বিষয়টি খুব দ্রুতই সবার সামনে ভালোমত প্রমাণ নিয়েই খোলাশা করবেন এই উপস্থাপিকা ।