গৃহশিক্ষিকার হাতে প্রাণ হারালেন শিশু মুনতাহা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ পিএম
৫ বছরের ফুটফুটে শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন। থাকতেন সিলেটের কানাইঘাটের। খেলতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হয়নি তার।
ছোট্ট শিশুটি মৃত্যুর খবরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারে চলছে কান্নার রোল।
তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে শিশুটির গৃহ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। আর সেই গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া বেগম সুমিকে এই হত্যার কাজে সহযোগিতা করেছেন তার মা। গেল রোববার ভোরে শিশু মুনতাহার মরদেহ সরিয়ে ফেলার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন গৃহশিক্ষিকা সুমির মা। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল।
এ ঘটনায় গৃহশিক্ষিকা সুমি এবং তার মাকে আটক করা হয়েছে। তারা শিশু মুনতাহার পাশের বাড়ির প্রতিবেশী। ৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর গেল রোববার ভোর চারটার দিকে মুনতাহার মরদেহ বাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গেল ৩ নভেম্বর দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলো মুনতাহা। নিখোঁজের ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। তার সন্ধান চেয়ে পুরষ্কারেরও ঘোষণা দিয়েছিল শিশুটির বাবা মা।
ওসি আব্দুল আওয়াল জানান, শনিবার রাতেই পুলিশ সন্দেহবশত শিশুটির গৃহশিক্ষিকা সুমিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হলে নিখোঁজ শিশুটির পরিবারকে সুমির বাড়ির দিকে নজর রাখতে বলা হয়। ভোরে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান যে- বাড়ির পাশের একটি ছড়ার মাটি খুঁড়ে শিশু মুনতাহার মরদেহ পাশের পুকুরে ফেলে দিচ্ছিলেন সেই গৃহশিক্ষিকা সুমির মা। এই ঘটনা দেখে মুহূর্তেই তারা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে আটক করা হয় গৃহশিক্ষিকা সুমির মা ও তার নানীকে।
আব্দুল আওয়াল আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সুমি ও তার মা শিশু মুনতাহাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে কি কারনে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
এর আগে শিশুটির পরিবার দাবি করেছিল যে, তাদের মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে 'অপহরণ' করা হয়েছে। সেই ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী ও দায়ের করেছিলেন তারা।
গেল ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে মুনতাহা। এরপর প্রতিদিনের মতো অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে গেলে তাকে আর ফিরে পায়নি পরিবার। অবশেষে নিখোঁজ শিশুটির মরদেহ খুঁজে পেল তার হতভাগ্য বাবা মা।