এবার মুসলমানদের পুঁজি করে চলছে ট্রাম্প-কমলার নির্বাচনী প্রচারণা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম
দুয়ারে কড়া নাড়ছে মার্কিন নির্বাচন। বাকি আছে এক সপ্তাহেরও কম সময়। লেবাননে শান্তি ফেরাতে মুসলিম ভোটারদের কাছে সামাজিকমাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে আক্ষরিক অর্থে শান্তি ফেরাতে চান। লেবাননে ধ্বংস এবং দুর্ভোগ কমিয়ে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চান।
এবার এমন সময় মার্কিন নির্বাচন হচ্ছে, যখন মধ্যপ্রাচ্য অস্থির। ১ বছর ধরে চলা গাজায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ তো থামেইনি বরং যুদ্ধ ছড়িয়ে গেছে লেবাননে। আরব বংশোদ্ভূত আমেরিকান এবং মুসলিম ভোটাররা গাজা এবং লেবাননে ইসরাইলের হামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
৩০ অক্টোবর এক্স হ্যান্ডলে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমার প্রশাসনের সময়, আমরা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পেয়েছি এবং খুব শীঘ্রই আমরা আবার শান্তি পাব! আমি কমলা হ্যারিস এবং জো বাইডেনের কারণে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করব এবং লেবাননে দুর্ভোগ ও ধ্বংস বন্ধ করব’।
আমি মধ্যপ্রাচ্যে প্রকৃত শান্তি দেখতে চাই। সেখানে একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করব। যাতে এটির প্রতি ৫ বা ১০ বছরের পরও যেনো পুনরাবৃত্তি না হয়’। ট্রাম্প আরো লিখেছেন, ‘আমি সমস্ত লেবাননের সম্প্রদায়ের মধ্যে সমান অংশীদারিত্ব রক্ষা করব। লেবাননে বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার তাদের প্রতিবেশীদের সাথে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করার যোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই। এটি শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার সাথেই ঘটতে পারে’। ‘আমি আশাবাদী লেবাননের মহান জনগণের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত লেবানিজ সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করে শান্তির জন্য ট্রাম্পকে ভোট দিন’।
গেল ১ বছর ধরে গাজায় চলা ইসরাইলের অবর্ণনীয় নিষ্ঠুরতায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননেও অভিযান শুরু করে ইসরাইল। এমন পরিস্থিতিতে মুসলিম ভোটাররা হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে। আর তাই মুসলিম ভোটারদের টানতে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ট্রাম্প ও কমলা।
এদিকে নির্বাচনি প্রচারণায় গিয়ে ফিলিস্তিনপন্থি সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার পেনসিলভানিয়ার হ্যারিসবার্গে অনুষ্ঠিত ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সমাবেশে বাধা দেয় ফিলিস্তিনপন্থি কিছু সমর্থক। এ সময় তারা ফিলিস্তিনি জনগণের গণহত্যা এবং লেবাননে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানান।