যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কত খরচ হয়, কে টাকা দেয়?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২১ পিএম
দেশের সব নির্বাচনের ক্ষেত্রে টাকা খরচ হয় কিন্তু কেউ কী ভেবেছেন দেশের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে টাকা লাগে। কিভাবে জোগাড় হয় সে টাকা। কে দেয় নির্বাচনের এই অর্থ।
টাকা জোগাড় করতে প্রার্থীরা বেশকিছু বিকল্প বেছে নেন। তারমধ্যে প্রার্থীরা তাদের নিজস্ব অর্থ দিয়ে প্রচারণা চালাতে পারেন। অথবা, ব্যক্তিগত দাতাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন। তহবিলের আরেকটি উৎস রাজনৈতিক অ্যাকশন কমিটি গ্রুপ থেকে আসে, যা প্যাক বা সুপারপ্যাক নামে বেশি পরিচিত।
সরকারি তহবিল থেকেও অর্থ পেতে পারেন তারা। তবে এক্ষেত্রে ব্যয়ের হিসাবের কঠোর সীমাবদ্ধতা মেনে চলতে হয় প্রার্থীদের। ফলে গত কয়েকটি নির্বাচনে মূলধারার প্রার্থীরা এই বিকল্পটি এড়িয়ে গেছেন।
মার্কিন নির্বাচনে অর্থ সংগ্রহ ও ব্যয়ের তথ্য সংগ্রহ করে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ওপেনসিক্রেটস। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুসারে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন।
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প হ্যারিসের চেয়ে অনেক কম অর্থ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। তার আনুষ্ঠানিক প্রচারণা দল ৩৬৭ মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় চার হাজার ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। হ্যারিসের চেয়ে এই পরিমাণ প্রায় ৪০ শতাংশ কম।
ওপেনসিক্রেটস এর তথ্য অনুসারে বাইরের গ্রুপগুলো আরও ৫৭২ মিলিয়ন ডলার ট্রাম্পের তহবিলে যোগ করেছে।
এর ফলে ট্রাম্পের মোট তহবিল দাঁড়িয়েছে ৯৪০ মিলিয়ন ডলারে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।ট্রাম্পের তহবিলের ৬৮ শতাংশেরও বেশি অবদান এসেছে বিত্তশালিদের সমর্থন থেকে।
প্রার্থীদের তহবিলে কারা দান করতে পারবেন, কারা পারবেন না, এ নিয়ে ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের কঠোর নিয়ম রয়েছে। তহবিলে দান করা নিয়েও সীমাবদ্ধতা রয়েছে । কেবল মার্কিন নাগরিক বা গ্রিনকার্ডধারীরাই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর তহবিলে দান করতে পারেন। তবে বিদেশি নাগরিকেরা কোনোভাবেই নির্বাচনি তহবিলে দান করতে পারবেন না।
এমনকি সরকারি ঠিকাদার, কর্পোরেশন, জাতীয় ব্যাংক, শ্রমিক ইউনিয়ন এবং অলাভজনক সংস্থাগুলোও ফেডারেল নির্বাচনে প্রার্থী বা দলগুলোর তহবিলে সরাসরি অবদান রাখতে পারবে না।