গায়ক নোবেলের মাদক ও নারী আসক্তির নতুন তথ্য ফাঁস করলেন সালসাবিল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম
দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে নিয়ে বিতর্ক যেন নিয়মিত ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিনের বিতর্কের পর এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছেন এই গায়ক। সম্প্রতি একাধিক মিডিয়ার সামনে এসে, অতীতের সব ভুল স্বীকার করে নেন নোবেল। এমনকি মাদকের নেশাও ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে নিভু নিভু আগুনে যেন ঘি ঢেলে দিলেন নোবেলের সাবেক স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। তিনি দাবি করে বসলেন, নোবেল আবারো মাদকের নেশায় ডু্বেছেন। এমনকি পাঁচ-সাতজন 'বান্ধবী'ও তার সঙ্গেই রয়েছেন।
গেল শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসে সালসাবিল লেখেন, ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। খুব দ্রুত বিচার না করে একটু সময় দিন, সত্যটা সবার সামনে চলে আসবে। যে যেটাতে অভ্যস্ত, সে সেটাই করতে থাকবে। ক্যামেরার সামনের নাটকটি ক্ষণস্থায়ী। সত্য বের হয়ে আসা শুধু ক্ষণিকের অপেক্ষা।
মন্তব্যের ঘরে তিনি একজনের কমেন্টের উত্তর দিতে গিয়ে লিখেছেন, ‘রিহ্যাব থেকে বের হওয়ার পর একটা মানুষের খাবার কেনার টাকা নেই। মাফ না করলেও খাবার কেনার টাকা দিলাম, উবারভাড়া নেই, তা-ও দিলাম। তিন মাস ভালো হওয়ার নাটক করল, দ্রুত একটা শো আসছে। আবার ড্রাগ শুরু করে দিয়েছে আর সঙ্গে তো পাঁচ-সাতটা জিএফ আছেই।’
কিন্তু কাকে উদ্দেশ্য করে তার এমন স্ট্যাটাস? জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে সালসাবিল বলেন, ‘স্ট্যাটাসটি নোবেলকে নিয়ে। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন- ফের নেশায় ডুবছেন নোবেল।’ সালসাবিল বলেন, নোবেল রিহ্যাবে ছিল অনেক দিন। ফেরার পর দুই-তিন মাসের মতো ভালো ছিল। এখন আবার মাদক নেওয়া শুরু করেছে।
নোবেলের ফের মাদক নেওয়ার বিষয়টি কীভাবে জানলেন জানতে চাইলে সালসাবিল বলেন, রিহ্যাব থেকে ফেরার পর থেকেই ওর সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। নিয়মিত কথা হতো। দু-তিন মাসের মতো ভালো ছিল। মাদক থেকে দূরে ছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে আবার শুরু করেছে। সে নিজেই আমাকে বলেছে। তার আচরণ কিছুটা ওলটপালট হচ্ছিল। বিষয়টি খেয়াল করে জানতে চাইলে সে বলে, হ্যাঁ নিচ্ছি তাতে তোমার কী।
২০১৮ সালে ওপার বাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘সা রে গা মা পা’য় একের পর এক ধামাকা পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন মাইনুল আহসান নোবেল। এরপর কবি নজরুলের ‘কারার ঐ লৌহকপাট’, নগর বাউল জেমসের ‘মা’ ও আইয়ুব বাচ্চুর ‘এই রুপালি গিটার’। ততদিনে তিনি কলকাতার মানুষদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এরপর নোবেলের জনপ্রিয়তার খবর রটে যায় বাংলাদেশেও। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেশের মানুষদের কাছ থেকে পেতে থাকেন অসম্ভব ভালোবাসা। তবে সেই ভালোবাসা বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি তিনি। হঠাৎ হারিয়ে যান নেশার অন্ধকারে।