এইচএসসি পাশ করলেন সেই তিশা, কী উপহার দিলেন মোশতাক?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৭ এএম
ষাটোর্ধ মুশতাক আহমেদ তার হাঁটুর বয়সি মেয়ে তিশাকে বিয়ে করে দেশজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। এরপর মামলা, বইমেলায় জনরোষ কোনকিছুই থামাতে পারেনি এই জুটিকে। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সমালোচিত সেই খন্দকার মুশতাক আহমেদের স্ত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশা।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ফল প্রকাশের পর তিশার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে মুশতাককে অভিনন্দন জানাতে দেখা গেছে। খন্দকার মুশতাক বলেন, ‘আমার হুররামকে (তিশা) অভিনন্দন। আপনারা জানেন আজকে এইচএসসির রেজাল্ট দিয়েছে এবং আমাদের জীবনের অনেক চড়াই উতরাইয়ের পরেও তিশা বরাবরই ভালো শিক্ষার্থী হওয়ায় ঈর্ষণীয় ফলাফল করেছে। তাই আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে তাকে অভিনন্দন।’
ভিডিওতে তিশা বলেন, ‘রেজাল্টের মেসেজ দেখে প্রথমে বিশ্বাস করিনি। পরীক্ষার আগে শেষ দুই মাস অনেক বেশি পরিশ্রম করেছি। এতো পরিমাণ বাসায় হাউস টিচার এসেছে যে আমার ধম ফেলার সুযোগ ছিলনা। এটা যদিও নতুন কিছু নয়; আমার কাছে মনে হয়েছে, হ্যাঁ আমিতো এটাই পাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন অনেক ধন্যবাদ।’
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ষাটোর্ধ খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। এসময় তারা ভালোবেসে একে অপরকে বিয়ে করেছেন বলে জানান। তাদের বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে তিশার পরিবার এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে মমলাও করা হয়।
এত কিছুর পরও টিকে আছে তাদের সংসার। সবশেষ বইমেলায় তিশাকে নিয়ে মুশতাকের লেখা বইও প্রকাশিত হয়। তাছাড়া নানা কারণে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে অসমবয়সী মুশতাক-তিশা জুটি।
তবে এখনো এ বিয়েকে মেনে নেয়নি তিশার পরিবার। শুধু তাই নয়, এ বিয়েকাণ্ড আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এখনো বিষয়টি বিচারাধীন। এবার বয়সে বড় জামাইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম। তার অভিযোগ, ব্ল্যাকমেইল করে তিশাকে বিয়ে করেছেন মুশতাক।
তিনি দাবি করেন, আমার মেয়ের কিছু অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করছেন। ১০-১২ জন ছেলেকে ভাড়া করে আমার মেয়ের অশ্লীল ছবি তুলেছেন। মুশতাককে বিয়ে না করলে তিশার এসব ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন।