×

ভিডিও

টাইম ম্যাগাজিনে উপদেষ্টা নাহিদকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ পিএম

   

দুই বছর আগে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থিসিস দিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। যে থিসিসে দেখানো হয়েছিল 'কেন বাংলাদেশের কোনো ছাত্র আন্দোলন কখনো লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি'। সেই থিসিসের উপসংহার কী ছিল, তা তিনি ভুলে গিয়েছিলেন, তাতে কিছু যায় আসে না। ২৬ বছর বয়সী এই যুবক এবার ইতিহাস বদলে দিয়েছেন। সম্প্রতি টাইমস ম্যাগাজিনে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে নিয়ে দীর্ঘ এক প্রতিবেদন লেখা হয়েছে। সেখানে উঠে এসেছে নাহিদ কিভাবে ছাত্র বিপ্লবের মুখ হয়ে উঠলেন

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশব্যাপী শুরু হওয়া গণবিক্ষোভে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীদের একজন হিসেবে বিবেচিত শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দৃশ্যমান মুখ ছিলেন নাহিদ ইসলাম।

সেপ্টেম্বরের এক রোববার বিকেলে ঢাকার তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে একটি বিলাসবহুল কালো চামড়ার চেয়ারে বসে থেকে শান্ত কণ্ঠে ইসলাম টাইম ম্যাগাজিনকে বলেছিলেন, 'হাসিনা একজন রক্তচোষা এবং মানসিক রোগী।'

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, তিনি একজন প্রাইভেট টিউটর ছিলেন। সরকার কর্তৃক গ্রেপ্তার এড়াতে তাকে লুকিয়ে থাকতে  হয়েছিল। এখন তিনি দেশের  ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের উপদেষ্টা।

জুন মাসে মুষ্টিমেয় কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ঢুকে প্ল্যাকার্ড হাতে মানুষদের রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অবদান রাখা প্রবীণদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরি পাওয়ার সুবিধা দিয়ে বিতর্কিত কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্ট। নাহিদ ও তার সহপাঠীরা কোটা পুনর্বহালের পরিবর্তে সবার জন্য ন্যায্য সুযোগ দাবি করেন।

প্রথম ২০১৮ সালে কোটাপদ্ধতির বিরুদ্ধে করা আন্দোলনটি সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো উত্তাল করে তোলে। সে সময় সরকার শেষ পর্যন্ত তার অবস্থান থেকে পিছু হটে এবং বিক্ষোভ থেমে যায়। এ বছরও কোটাপদ্ধতির বিষয়টি শেষ হতে পারত বলে মনে করেন নাহিদ। কিন্তু এরপর নিরাপত্তাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর সরাসরি গুলি ছুড়তে শুরু করে। ১৬ জুলাই দু'হাত বাড়িয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় আরেক ছাত্রনেতা আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

নাহিদ বলছিলেন, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। পরে এই বিক্ষোভ দ্রুত দেশজুড়ে জনসংখ্যার বিশাল অংশে ছড়িয়ে যায়।

এরপর ৫ আগস্ট, যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকার কেন্দ্রস্থলে হাসিনার বাসভবনের কাছাকাছি এসেছিল, তখন তিনি ভারতে উড়াল দেন। 

সমাজবিজ্ঞানের এই স্নাতক বরাবরই সরকারের বিরোধিতাকারীদের মধ্যে ছিলেন।২০১৯ সালে নাহিদ ক্যাম্পাস নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং পরে তার সহকর্মীদের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্র সংগঠনে ছিলেন।

এ বছরের জুলাই মাসে নাহিদ প্রথম জনগণের কাছে পরিচিতি পান, যখন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে তুলে নেয় ও নির্যাতন করে।তার শরীরে আঘাতের ছবি স্থানীয় গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

নাহিদ বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আমাদের আন্দোলনের নেতার জন্য পরিচিত মুখ খুঁজছিল, কিন্তু আমরা শুধু একজন ছিলাম না। এটাই ছিল আমাদের মূল শক্তি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়াটা ছিল একটি দলবদ্ধ কাজ। মিডিয়া সর্বদা একটি মুখ চায়, তবে আমি এই আন্দোলনের একমাত্র নেতা নই। আমরা অনেকেই ছিলাম।


সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App