মণিপুরে যুদ্ধাস্ত্র পাঠাচ্ছে মোদি, সর্বাত্মক যুদ্ধের আশংকা!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
সংঘাত যেন থামছেই না ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যটিতে দাবি আদায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। তিন জেলায় কারফিউ জারি করা হয়। রাজ্যজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। এ অবস্থায় আন্দোলন দমাতে মণিপুরে যুদ্ধাস্ত্র পাঠাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির।
মণিপুরে স্বল্প প্রশিক্ষিত পুলিশের হাতে অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রথাগত যুদ্ধাস্ত্র তুলে দিচ্ছে ভারত সরকার। এমন দাবিই করেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলোক আস্থানা। তিনি বলেন, মধ্যম পাল্লার মেশিনগান বা এমএমজি ইতিমধ্যে মণিপুর পুলিশের হাতে পৌঁছেছে, যা প্রচলিত যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
মেশিনগানটি থেকে কয়েক সেকেন্ডে ২৩৫টি পর্যন্ত গুলি চালানো সম্ভব। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ জন আহত হন। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বিস্ফোরক তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল পদমর্যাদার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অলোক।
কর্নেল আস্থানা একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, এমএমজি একটি অতি শক্তিশালী অস্ত্র, যা প্রথাগত যুদ্ধে ব্যবহার করা হয় শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করতে। এই অস্ত্র অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় সেনাসদস্যদেরও দেওয়া হয় না। কারণ এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। আস্থানা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মণিপুরের পুলিশের হাতে এমএমজি তুলে দেওয়া ভবিষ্যতে ভয়াবহ বিপদের কারণ হতে পারে।
তিনি আরও জানান- মণিপুরে স্থানীয় কমান্ডোরা বিভিন্ন উপজাতির কাছে অত্যন্ত ঘৃণ্য। তাই এই বাহিনীকে এমএমজি দেওয়ার সিদ্ধান্ত আরও বিপজ্জনক হতে পারে। মণিপুর সরকারের ৪০০০ অস্ত্র লুট হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হয়তো এমএমজি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে এই অস্ত্র যদি লুট হয়ে যায়, তবে তা কি সরকার মেনে নেবে?
গত ৯ সেপ্টেম্বর অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্নেলের লেখা প্রবন্ধ প্রকাশ করে ভারতের সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট দ্য ওয়ার। এর আগে দ্য ইন্ডিয়া কেবল নামের ওয়েবসাইটেও এটি প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধের শেষে কর্নেল আস্থানা সরকারের উদ্দেশ্যে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।
মণিপুর পুলিশের হাতে এমএমজি তুলে দেওয়ার আগে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হওয়া প্রয়োজন। মাত্র ২১ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে পুলিশের হাতে এতো শক্তিশালী অস্ত্র তুলে দেওয়া নাগরিকদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি এই নির্দেশ দিয়েছে বলে পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।