আবরার হত্যাকারীর মায়ের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ছাত্রীরা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম
শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার আলোচনায় এসেছেন বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেয়াল প্রতিবাদের চিত্রে দেখা গেছে আবরার ফাহাদের ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই মনে করছেন সরকার পতনের ফলে আবরারের আত্মার শান্তিকামনা হয়েছে।
আবরার হত্যা মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। আবরার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামির মধ্যে ৩ জন পলাতক রয়েছেন। পলাতক এ তিনজন হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে মুজতবা রাফিদের মা লায়লা হাসিনা বানু দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে প্রায় ৭ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও ছেলে আবরার হত্যাকারী মুজতবা রাফিদকে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষিকা লায়লা বানুর পদত্যাগের দাবিতে সোমবার ১৯ আগস্ট আন্দোলন করেছে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
পদত্যাগের দাবিতে স্টুডেন্ট, টিচার সাধারণ আলোচনা পর্ব চলাকালীন লায়লা বানু বহিরাগত সন্ত্রাসীদের গার্লস স্কুলে ঢুকিয়ে মেয়েদের শাসানোর চেষ্টা করেন৷ পরবর্তীতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা পরিস্থিতি সামলালে প্রধান শিক্ষিকা স্কুল থেকে পালিয়ে যান। পরে প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রীরা আন্দোলন নিয়ে ডিসি অফিসমুখে রওনা দেয়।
ছাত্রীরা ডিসি অফিস ঘেরাও করে প্রধান শিক্ষিকার পদত্যাগের দাবিতে সেখানে আন্দোলন শুরু করে। এরপর পরিস্থিতি সামলাতে এডিসি ও শিক্ষা কর্মকর্তা পদত্যাগের আশ্বাস দিয়ে লায়লা হাসিনা বানুকে বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান লায়লা বানু পলিটিক্যাল পাওয়ার খাটিয়ে স্কুলে নানান রকম দুর্নীতি ও টাকা আত্নসাত করে আসছেন এতদিন। শিক্ষার্থীরা আরও জানান আবরার ফাহাদের হত্যাকারী তার ছেলে মুজতবা রাফিদকে পলিটিক্যাল পাওয়ার খাটিয়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন তিনি।