সন্তান প্রসব করাতে গিয়ে আয়ার হাতে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম
নবজাতককে হারিয়ে এভাবেই কান্নায় ভেঙে পরেন এই অসহায় বাবা। মহিপুর ইউনিয়নের বিপিনপুর গ্রামের আনোয়ার। তার স্ত্রী দুই সন্তানের জননী শারমিন বেগম কে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় মহিপুর থানা সদরের কেয়ার মডেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এসময় পারভীন নামে এক আয়া চিকিৎসকের দায়িত্ব নিয়ে নিজেই প্রসূতির ডায়াগনোসিস রিপোর্ট পর্যালোচনা করে স্বাভাবিক ডেলিভারির আশ্বাস দেন। ডাক্তার না ডেকে নিজেই সনাতন পদ্ধতিতে ডেলিভারি করতে গিয়ে নবজাতক মৃত্যু হয়।
স্বজনরা জানান, হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা প্রসূতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও ওই সময় কোন চিকিৎসক ছিলেন না। এ হাসপাতালে এর আগেও ডেলিভারি করতে গিয়ে ২ নবজাতকের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের আয়া পারভীন ও নার্স মানছুরা জানান, প্রসূতির ডায়াগনোসিস রিপোর্ট অনুযায়ী নরমাল ডেলিভারি হবার কথা। তাই চিকিৎসক ডাকা হয়নি। তবে চিকিৎসক ছাড়া কিভাবে এমন ঝুঁকি তারা নিলেন তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তারা।
হাসপাতালের মালিক মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, রোগীর স্বজনরা আগেই বাড়িতে ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসে। নবজাতকের গলায় নাড়ি পেঁচানো ছিল।
তবে অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালটিতে বিভিন্ন ডাক্তারের সাইন বোর্ড জুলিয়ে রাখা হলেও তা শুধু কাগজে কলমেই রয়েছে। বাস্তবে এক দুইজন চিকিৎসক রয়েছে। তা অনিয়মিত। নার্স আয়াদের দিয়েই চলছে চিকিৎসা।
এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই আয়া পরভীন এবং নার্স মানসুরাকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান মহিপুর থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন তালুকদার।