সাড়ে ২৩ লাখ পশু অবিক্রিত, বড় খামারিরা বেশি লোকসানে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৪, ০৫:৪০ পিএম
পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৬ লাখ ২১ হাজার ২২৮ গবাদিপশু বিক্রি হয়। যা গত বছরের চেয়ে ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২২৮টি বেশি। পানিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, এবার পশুর মোট মজুদ ছিল ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু। সে হিসেবে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৯টি পশু অবিক্রিত থেকে গেছে।
পানিসম্পদ অধিদপ্তরের বলছে- এবার সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে ও ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম পশু বিক্রি হয়েছে। এ বছর ঢাকায় ২৫ লাখ ২০ হাজার, চট্টগ্রামে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার আর রাজশাহীতে ২৩ লাখ পশু বিক্রি হয়। গত বছর কোরবানি ঈদে ৯৪ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি পশু বিক্রি হয়।
এই ঈদে ১ কোটি ১০ লাখ পিস পশুর চামড়া সংরক্ষণের লক্ষ্য ট্যানারি মালিকদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রস্তুতি থাকলেও চিন্তা রয়েছে অতিরিক্ত বর্জ্য নিয়ে। কারণ কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের সক্ষমতা এখনও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছায়নি।
ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১২ বিলিয়ন ডলার আমরা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। কিন্তু আমি মনে করি এটা কোনোভাবে বাস্তবসম্মত না। কারণ যেখানে কোম্পানিগুলো এমপ্লায়েন্স হতে পারছে না, সেখানে এই বাস্তবায়নটা বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রতি বছরের মতো এবারও শিল্পনগরীর বড় সমস্যা চামড়ার কঠিন বর্জ্য। সরেজমিনে দেখা যায়, সাভার চামড়া শিল্পনগরীর কঠিন বর্জ্য নির্ধারিত প্লটের বাইরে ফেলা হচ্ছে রাস্তার দু ধারে। ভেঙে গেছে সীমানা প্রাচীরও। কোরবানির বাড়তি চাপ সামাল দিতে শঙ্কা বাড়ছে আগের চেয়ে বেশি।
দেশের চামড়া শিল্প ব্যবস্থাপনায় গঠন হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের একটি বোর্ড থাকবে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট আইনের খসড়াও প্রণয়ন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অংশীজনের মতামত গ্রহণসহ নির্ধারিত প্রক্রিয়া শেষে ‘বাংলাদেশ চামড়া শিল্প ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২৪ শীর্ষক আইনটি দ্রুত প্রণয়নের তৎপরতা চলমান রয়েছে।
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে। ১৭ জুন ছিল ঈদের প্রথমদিন। এদিন কসাই না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে যারা কোরবানি করতে পারেননি, তারাই আজ পশু কোরবানি দিচ্ছেন।
কাল থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরেজমিনে রাজধানীর পোস্তগোলা, জুরাইন, ধূপখোলা ও গেন্ডারিয়া এলাকা ঘুরে পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে। তবে এ সংখ্যা গতকালের তুলনায় অনেক কম। আবার অনেকেই কিছুটা স্বস্তির সঙ্গে জবাই ও কাটাকাটি করতে মঙ্গলবার বেছে নিয়েছেন।