×

ভিডিও

ইরান যেকোনও সময় গুড়িয়ে দিতে পারে ইসরায়েলকে।

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম

   

গাজায় দখলদার ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের মোকাবেলায় ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তি সম্পর্কে নানা ধরনের বিশ্লেষণ তুলে ধরছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্লেষকরা বলছেন মধ্যপ্রাচ্যে ইরান এতোটায় ক্ষমতাধর হয়ে উঠেছে যে, ইসরায়েলকে যেকোন সময় গুড়িয়ে দিতে পারে যা কল্পনা করতে পারছে না ইসরায়েল। এরপরও ইরান তার সামরিক শক্তির ব্যবহারে বরাবরই শান্তির পথ অবলম্বন করেছে। 

ইরান বারবারই বলে এসেছে, আক্রান্ত না হলে কারও বিরুদ্ধে সমর শক্তি ব্যবহার করবে না। কিন্তু, গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসনের মধ্যেই ১এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাস প্রাঙ্গণে ইসরায়েলের হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের একজন সিনিয়র কমান্ডার ও ছয় কর্মকর্তা নিহত এবং এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ১৪ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলে ইরানের কয়েকশ ড্রোন ও মিসাইল হামলা—সার্বিক পরিস্থিতিকে একটি বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতের হুমকি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই দুই দেশের তিক্ত সম্পর্ক ক্রমেই মধ্যপ্রাচ্যে বড় সামরিক সংঘাতের দিকে যাচ্ছে। ফলে, দেশ দুটির সামরিক শক্তি নিয়ে শুরু হয়েছে নানান বিশ্লেষণ ও তুলনামূলক আলোচনা। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য মতে, পাওয়ার ইনডেক্সের ১৪৫টি দেশের মধ্যে ইরান রয়েছে ১৪তম অবস্থানে এবং এর ঠিক তিন ধাপ পেছনে অর্থাৎ ১৭তম অবস্থানে রয়েছে ইসরায়েল।

ইরানের মোট জনসংখ্যা ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার ৭৩ জন, যাদের মধ্যে ৪ কোটি ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৭১০ জন সেনা সদস্য হওয়ার উপযুক্ত। অন্যদিকে,ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যা ৯০ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮৭ জন, যাদের মধ্যে ৩১ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ জন সেনা সদস্য হিসেবে কাজ করার জন্য উপযুক্ত। ইরানের সেনাবাহিনী ও ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসে মোট ৬ লাখ ১০ হাজার নিয়মিত এবং ৩ লাখ ৫০ হাজার রিজার্ভ সেনা রয়েছে। কিন্তু, ইসরায়েলের নিয়মিত সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার এবং রিজার্ভ সেনা ৪ লাখ ৬৫ হাজার। 

আকাশ পথে ইরান ও ইসরায়েলের থেকে অনেক বেশি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে। ইরানের মোট যুদ্ধবিমান রয়েছে ৫৫১টি, যা ইসরায়েলের চেয়ে ৬১টি কম। এদিকে, ২৪১টি জঙ্গি বিমান নিয়ে বিশ্বে দশম অবস্থানে আছে ইসরায়েল। অন্যদিকে, ১৮৭টি জঙ্গি বিমান নিয়ে ইরানের অবস্থান বিশ্বে ১৬তম। বিমান হামলা বা ডেডিকেটেড অ্যাটাকের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের অবস্থান ১৭তম। 

স্থল শক্তির দিকে থেকেও ইসরায়েল ইরানের থেকে পিছিয়ে। ইরানের কাছে ১ হাজার ৯৯৬টি ট্যাংক আছে কিন্তু ইসরায়েলের কাছে আছে ১ হাজার ৩৭৯টি। এছাড়া, নৌ পথে যেকোন সময় ইসরাইলকে ধরাশায়ী করার জন্য প্রস্তুত ইরান। ইরানের কাছে ১০১টি যুদ্ধ জাহাজ, ১৯টি সাবমেরিন আছে। সেই তুলনাই ইসরায়েল অনেকটাই পিছিয়ে। এছাড়াও ইরানের ৩১৯টি ইয়ারপোর্টের বিপরীতে ইসরায়েলের আছে মাত্র ৪২টি। তবে পারমানবিক অস্ত্রের বিষয়ে ইরান এবং ইসরায়েল,কোনো দেশেরই সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায় না।

যদিও সামরিক শক্তিমত্তার দিক থেকে ইসরায়েলের থেকে ইরান অনেকটাই এগিয়ে কিন্তু যেকোন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে পূর্ণ শক্তি দিয়ে সহযোগিতা করতে সবসময় প্রস্তুত সামরিক দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। আর যেকোন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষ্যে অবস্থান নেয় তাহলে ইরানের মিত্র পক্ষ্যও চুপ থাকবে না বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে, এই পরিস্থিতি দেখ দিলে তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে মোড় নিতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছে। 


টাইমলাইন: ইরান–ইসরায়েল উত্তেজনা

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App