ভারী বৃষ্টিতে সৌদিতে বন্যা, মদিনায় রেড এলার্ট জারি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
সৌদি আরবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে দেশটির বিভিন্ন স্থানে অতিমাত্রায় বৃষ্টির পানি জমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে মদিনায় রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। বাঁধ ভেঙ্গে কোথাও কোথাও প্রবল বন্যা হতে দেখা গেছে। বছরের এই সময়টাতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সাধারণত মোটেও বৃষ্টি হওয়ার কথানা, তবুও কেন সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদিতে জলবায়ুর এমন বিরূপ পরিবর্তন হচ্ছে, সে কারণটাই খুঁজছে বিশেষজ্ঞরা।
বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে অনেক জায়গায় সাধারণ মানুষের গাড়ি ডুবে গেছে, অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে এবং অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মদিনা অঞ্চলের সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে। বৃষ্টির সময় উপত্যকা এবং জলধারাগুলো থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে তারা। এছাড়া কৃষিপণ্য পরিবহনের রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
বৃষ্টিতে ভিজেছে পবিত্র নগরী মদিনার মসজিদে নববী।বৃষ্টির পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে মসজিদটিতে যে ছাউনি আছে সেগুলো বেয়ে সজোরে পানি নিচে নেমে আসে।সৌদির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র মদিনার জন্য সর্বোচ্চ লাল সতর্কতা জারি করেছে।
স্কাই নিউজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ২৯ এপ্রিল, সোমবার আল-উলা এবং আল-মদিনা শহরে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। আল-মদিনা শহরে মসজিদে নববীর অবস্থান। এটি ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র স্থান। এই মসজিদের কাছে প্রবল বৃষ্টি হতে দেখা গেছে।
এর আগে সৌদি আরবের দক্ষিণ-পূর্বের প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল। এর কয়েকদিন পর সৌদি আরবে ভারী বর্ষণ ও বন্যা দেখা দিয়েছে। বছরে এই সময়ে আরব দেশগুলোতে এ ধরনের আকস্মিক বন্যাকে একটি বিরল ঘটনা বলা যেতে পারে।মূলত
এই ঘটনাগুলোর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে আংশিকভাবে দায়ী করা হচ্ছে।
২০২২ সালের নভেম্বরে, সৌদি আরবে প্রবল বৃষ্টির ফলে উপকূলীয় বন্যার সৃষ্টি হয়। সে সময় বন্যার কারণে জেদ্দাতে ২ জন নিহত হয়। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বার বার বন্যার কবলে পড়ছে জেদ্দা।
উপসাগরীয় দেশগুলোর বেশিরভাগ শহর বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছাড়াই নির্মিত হয়েছিল। কারণ ২০ শতকের নগর পরিকল্পনাবিদরা আরব উপদ্বীপের মত শুষ্ক ভূখণ্ডে জলবায়ুর এ ধরনের নাটকীয় পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেননি।
এদিকে সৌদি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষ বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছে। দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং উপত্যকা ও জলপথ এড়াতে অনুরোধ করেছে। এই অঞ্চলগুলোতে প্রবেশ না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গাড়ির চালকদের গ্রামীণ রাস্তায় বিশেষভাবে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছে।