গাজায় যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের দূত উইটকফের ‘কারিশমা’

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩২ এএম

ট্রাম্পের দূত উইটকফের ‘কারিশমা’
যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে গাজা যুদ্ধ বন্ধে মোটেও আন্তরিক ছিলেন না, তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ।
বাইডেন সারা বছরে যে অগ্রগতি করতে পারেননি, সেটি এক বৈঠকেই করে দেখিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
ইসরায়েলের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের কঠিন চাপের মুখে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আগের কিছু অনঢ় অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গত শনিবার ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর জেরুজালেম কার্যালয়ে তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন উইটকফ। সেখানেই তিনি চুক্তির জন্য নেতানিয়াহুকে প্রয়োজনীয় আপোস করার আহ্বান জানান বলে জানিয়েছেন দুই আরব কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার ‘টাইমস অব ইসরায়েল’কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তারা বলেন, আলোচনার অগ্রগতিতে এ বৈঠক অনেকটাই সফল হয়েছে। বিশেষ করে জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে।
তবে উইটকফ বা নেতানিয়াহুর কার্যালয় কোনও পক্ষই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় থাকার এই শেষ সপ্তাহে একটি চুক্তির জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে এসেছে। তাদের সঙ্গে এ কাজে সমন্বয় করেন ভাবি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত নতুন প্রশাসনিক টিম।
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত উইটকফ আলোচনার মূল মঞ্চ ইসরায়েল এবং কাতার দুই জায়গাতেই ভ্রমণ করেছেন।
ট্রাম্পের দূত জিম্মি মুক্তির আলোচনায় অংশ নিতে গত এক সপ্তাহ দোহায় ছিলেন। শনিবার তিনি ইসরায়েলে যান। মূলত, তার চাপেই মধ্যস্থতাকারীরা ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের অভিষেকের আগেই গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করেন।
জেরুজালেমে নেতানিয়াহু ও উইটকফের বৈঠকের দুই দিন পর সোমবার রাতে ইসরায়েল ও হামাসের আলোচনাকারী দলগুলো মধ্যস্থতাকারীদের জানায়, তারা জিম্মি চুক্তির প্রস্তাব নীতিগতভাবে গ্রহণ করেছে।
মূলত ট্রাম্পের এ দূতের কল্যাণেই বুধবার (১৫ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে দুই পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছায়। আগামী ররিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি।
বুধবার রাতে দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কাতারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির যে চুক্তি হয়েছে তা ১৯ জানুয়ারি রবিবার থেকে কার্যকর হবে।