ট্রাম্পের জাতীয় জরুরি অবস্থার পরিকল্পনায় নতুন শুল্ক কর্মসূচি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘জাতীয় অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে বিভিন্ন মিত্র ও প্রতিপক্ষ দেশের পণ্যে নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন। শুল্ক আরোপের এই পদক্ষেপকে আইনি বৈধতা দিতে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি পাওয়ারস অ্যাক্ট (আইইইপিএ) আইনের আওতায় জরুরি অবস্থা জারির কথা ভাবছেন বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে বিশ্ব বাণিজ্যের ভারসাম্য পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করেছেন। নির্বাচনি প্রচারণার সময় তিনি বিশ্বজুড়ে পণ্যের আমদানিতে ১০ শতাংশ এবং চীনের পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের অঙ্গীকার করেছিলেন। আইইইপিএ আইনের অধীনে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলে এই শুল্ক আরোপের ক্ষমতা আরো সহজ হবে।
শুল্ক আরোপে জরুরি অবস্থা
আইইইপিএ আইন অনুযায়ী, জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় প্রেসিডেন্ট আমদানি ব্যবস্থা পরিচালনার বিশেষ ক্ষমতা পান। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি হাতিয়ার, যা ট্রাম্প তার শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজে লাগাতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া সব ধরনের পণ্যে কমপক্ষে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ নিতে পারেন।
শুল্ক আরোপের হুমকি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার তিন সপ্তাহ পর ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, দায়িত্ব নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেক্সিকো এবং কানাডার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কাগজপত্রে সই করবেন। মেক্সিকো ও কানাডা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী এবং ফেন্টানিল মাদক পাচার বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে এই শুল্ক আরোপ হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগেও ২০১৯ সালে ট্রাম্প মেক্সিকোর পণ্যে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। তবে মেক্সিকো সীমান্ত নিরাপত্তায় কড়াকড়ি ব্যবস্থা নিতে সম্মত হওয়ায় সেই পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়।
অন্য দেশগুলোতে হুমকি বাড়ছে
ট্রাম্প সম্প্রতি পানামা খাল, গ্রিনল্যান্ড এবং কানাডা দখলের হুমকি দিয়েছেন। এসব ক্ষেত্রে তার কৌশল হলো মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানকারী দেশগুলোর ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করা।
বিশ্বজুড়ে ট্রাম্পের এই নতুন শুল্ক কর্মসূচি এবং জাতীয় জরুরি অবস্থা জারির পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে। এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা সময়ই বলে দেবে।