মধ্যপ্রাচ্যকে নরক বানানোর হুমকি ট্রাম্পের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ফ্লোরিডায় এক সংবাদ সম্মেলনে গাজা সংকট নিয়ে কঠোর মন্তব্য করেছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক বিজয় ঘোষণার একদিন পর তিনি বলেন, দায়িত্ব নেয়ার আগে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ২০ জানুয়ারির পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নরক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
ট্রাম্প বলেন, এটি হামাসের জন্য ভালো হবে না। এমনকি কারও জন্যই এটি ভালো কিছু বয়ে আনবে না। গাজায় নরক ফেটে পড়বে। আমি আর কিছুই বলতে চাই না।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলা চালানো কখনোই উচিত হয়নি এবং দীর্ঘ সময় ধরে চলমান যুদ্ধে জিম্মিদের আগেই মুক্তি দেয়া উচিত ছিল।
মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এ বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন। সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চলমান আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা আশা করি যুদ্ধবিরতির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। প্রেসিডেন্টের বক্তব্য এই আলোচনাকে প্রভাবিত করছে এবং আশা করি এটি কার্যকর হবে।"
উল্লেখ্য, দোহায় চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যোগ দেবেন স্টিভ উইটকফ।
গাজায় যুদ্ধ পরবর্তী শাসনব্যবস্থার পরিকল্পনা
এদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া যুদ্ধের কারণে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা চরম সংকটে পড়েছে। যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে গাজায় অস্থায়ী শাসনব্যবস্থা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের মধ্যে গোপন আলোচনা চলছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শেষে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করে নিলে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যান্য অংশীদার দেশগুলো গাজার পুনর্গঠন, নিরাপত্তা এবং শাসন পরিচালনায় ভূমিকা রাখতে পারে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা অংশীদার এবং ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ফলে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর তাদের উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। তবে আলোচনায় নির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা বা চুক্তি এখনও চূড়ান্ত হয়নি এবং কোন সরকারই আনুষ্ঠানিকভাবে এসব পরিকল্পনা অনুমোদন করেনি।
গাজা সংকটের সমাধানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন সমন্বিত প্রচেষ্টা চললেও নিরীহ মানুষের জীবন বাঁচাতে তা কতটা কার্যকর হবে, সেটি সময়ই বলে দেবে।