ক্রীড়া উপদেষ্টার মহৎ উদ্যোগ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আসিফ মাহমুদ
ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের অন্তত ১৩টি জেলা। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। তার মধ্যে বেশি বিপর্যস্ত ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি উপজেলা। দেশের এমন পরিস্থিতিতে যে যেভাবে পারছেন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে বন্যাদুর্গত মানুষের হাহাকার। অসংখ্য গৃহহীন মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করছেন। দেশের এমন পরিস্থিতিতে সমাজের সব শ্রেণিপেশার মানুষ এগিয়ে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার উপদেষ্টা হিসেবে পাওনা প্রথম মাসের বেতন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে চলতি মাসেই দায়িত্ব নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। দায়িত্ব নিয়েই ক্রীড়াঙ্গনে বেশকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এবার প্রথম মাসের বেতন ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়ে বন্যাকবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন তিনি, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ প্রশংসিত হচ্ছে।
ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলার লাখ লাখ মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট-ঘরবাড়ি। এ অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতিতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার কার্যক্রম ও খাবার দিতে সারাদেশ থেকে বিভিন্ন টিম যাচ্ছে এসব অঞ্চলে। এছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন জায়গা থেকে বন্যাদুর্গতদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গতকাল সকালে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনী গিয়েছেন। সেখানে তিনি অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী বন্যার্তদের ত্রাণ সহযোগিতা ও উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি এমন ঘোষণা দেন। আসিফ মাহমুদ পোস্টে লিখেছেন, ‘উপদেষ্টা হিসেবে আমার প্রথম মাসের বেতন প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে দেব। সংকট মোকাবিলায় সবাই এগিয়ে আসুন।’
এর আগে বাংলাদেশে হঠাৎ বন্যা প্রসঙ্গে ভারতের কাছ থেকে ‘স্পষ্ট ব্যাখ্যা’ চান আসিফ। আরেক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে নিকৃষ্টতম গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আশ্রয়, নোটিস ছাড়াই ওয়াটার গেট খুলে দিয়ে বন্যার সৃষ্টি করা ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।’