প্যারিস অলিম্পিক
ব্যালান্স বিমে বাইলসকে টেক্কা দিয়ে স্বর্ণ জিতলেন ডি’আমাতো

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
পরপর দুটি ইভেন্টে গতকাল স্বর্ণ জিততে পারেননি সিমোন বাইলস। মেয়েদের ব্যক্তিগত ফ্লোর এক্সারসাইজে রুপা জিতলেও ব্যালান্স বিমে কোনো পদকই জিততে পারেননি কিংবদন্তি এই মার্কিন অ্যাথলেট। প্যারিস অলিম্পিক গেমসের জিমন্যাস্টিকসের তিন ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন সিমোন বাইলস। আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকসের দলগত এবং অল-অ্যারাউন্ড ইভেন্টে জয়ের পর ভল্টের ফাইনালে জিতেও স্বর্ণ জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই জিমন্যাস্ট। এই সাফল্যে তার বাকি দুটি ইভেন্ট ব্যালান্স বিম এবং ফ্লোর এক্সারসাইজেও তার সাফল্যে নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন সমর্থকরা। তবে নিজের শেষ দুটি ইভেন্টে স্বর্ণ জিততে পারেননি সর্বকালের অন্যতম সেরা এই জিমন্যাস্ট। ব্যালান্স বিমে পঞ্চম হওয়া বাইল নিজের শেষ ইভেন্ট ফ্লোর এক্সারসাইজে জিতেছে রুপা।
মেয়েদের ব্যালান্স বিমে স্বর্ণ জিতেছেন ইতালির এলিস ডি’আমাতো। মেয়েদের জিমন্যাস্টিকসে এটাই কোনো ইতালিয়ান প্রতিযোগীর স্বর্ণ জয়। স্কোর করেন ১৪.৩৬৬। ১৪.১০০ স্কোর করে রুপা জিতেন চীনের ঝাউ ইয়াকিন। ১৪.০০০ স্কোর নিয়ে ব্রোঞ্জ ইতালির মানোলো এসপোসিতো।
মেয়েদের ব্যালান্স বিমে নিজের সেরাটা দিতে বাইলস তো পারেননি। একবার তো লাফ দিয়ে ঠিকমতো নামতেও ব্যর্থ। এই ইভেন্টে পঞ্চম হওয়া বাইলসের স্কোর ১৩.১০০।
অলিম্পিক জিমন্যাস্টিকসের শেষ দিনে নিজের পদকের ক্যাবিনেটটা সোনালি রঙে রাঙানোর স্বপ্ন নিয়েই লড়াইয়ে নেমেছিলেন বাইলস। শেষ পর্যন্ত সেটি না হওয়ায় আপাতত ৭টি স্বর্ণ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাকে। এর সঙ্গে অবশ্য আছে দুটি রুপা এবং দুটি ব্রোঞ্জও।
এর ফলে ১১ অলিম্পিক পদক ও ৩০টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পদক নিয়ে বাইলসই এখন অলিম্পিক ইতিহাসের সফলতম নারী জিমন্যাস্ট। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে প্রথম অংশ নিয়ে ৪টি স্বর্ণ ও
১টি ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন বাইলস, যা এখন পর্যন্ত বাইলসের সবচেয়ে সফলতম অলিম্পিক।
এবার অবশ্য চারটি পদক জিতেছেন বাইলস, যার মধ্যে তিনটি স্বর্ণ এবং একটি রুপা। পদক বিবেচনায় বাইলসের জন্য সবচেয়ে বাজে অলিম্পিক ছিল ২০২১ সালের টোকিও অলিম্পিক। সেবার একটি রুপা এবং একটি ব্রোঞ্জ জিতে অলিম্পিকের মাঝপথেই মানসিক ‘ট্যুইস্টিজ’কে কারণ দেখিয়ে বিদায় নেন তিনি।
প্যারিস অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের পাশাপাশি রেকর্ডও গড়েছেন সুইডিস তারকা আরমান্দ ডুপ্লান্টিস। এই পোল ভল্টার স্বর্ণজয় নিশ্চিত করেছেন ৬ মিটার লাফিয়েই। একবার ৬.১০ মিটার লাফানোর পর চেষ্টা করেন ৬.২৫ মিটার লাফানোর। আর তাতেই গড়েন রেকর্ড।
চলতি বছরের এপ্রিলে তারই গড়া আগের রেকর্ডের চেয়ে যা ছিল ১ সেন্টিমিটার বেশি। প্রথম দুই চেষ্টায় অল্পের জন্যই পারেননি, তবে তৃতীয় ও শেষ চেষ্টায় ৬.২৫ মিটার পেরিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েই পুরো স্টেডিয়ামকে মাতিয়ে দেন এই সুইডিস তারকা। এ নিয়ে নয়বার বিশ্ব রেকর্ড ভাঙলেন ২৪ বছর বয়সি অ্যাথলেট। টোকিও অলিম্পিকেও স্বর্ণ জিতেছিলেন ডুপ্লান্টিস।
৫.৯৫ মিটার লাফিয়ে রুপা জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্যাম কেনড্রিকস। ৫.৯০ মিটার লাফিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন গ্রিসের ইমানুইলি কারালিস।