সারাদেশে কমেছে বৃষ্টি
বন্যাপ্রবণ নদ ও নদীর পানি দ্রুত বাড়ার শঙ্কা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির ফলে বন্যাপ্রবণ নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এদিকে প্রায় সপ্তাখানেক ধরে চলে আসা টানা বৃষ্টি সারাদেশেই কমেছে।গতকাল শনিবার সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ময়মনসিংহে ১১১ মিলিমিটার। গত শুক্রবার ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছিল বেশ কয়েকটি এলাকায়। ওই দিন সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় ফেনীতে ২৮৮ মিলিমিটার। গতকাল ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৬৭ মিলিমিটার। সারাদেশেই কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি কমছে, যা আগামী দুদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উভয় নদীর পানি বাড়তে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা নদীগুলোর পানিও বাড়ছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আজ রবিবার নাগাদ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের প্রধান নদীগুলোর পানির বাড়তে পারে। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোর পানি বাড়ছে, যা সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল থাকতে পারে। মুহুরি নদী পরশুরাম পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে এবং পরে হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ঘাঘট, যমুনাশ্বরী, আপার করতোয়া, পুনর্ভবা, টাঙ্গন, ইছামতি-যমুনা ও আপার আত্রাই নদীগুলোর পানির সমতল সময় বিশেষে বাড়তে পারে। বর্তমানে ফেনী জেলা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পাউবো জানিয়েছে, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১১০টি পয়েন্টের মধ্যে পানি বেড়েছে ৬৪টিতে, কমেছে ৪০টিতে। অপরিবর্তিত আছে ছয়টি পয়েন্টের পানি। গত জুন-জুলাইয়ের বন্যায় দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১২ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো সে ক্ষত কাটিয়ে না উঠতেই ফের কড়া নাড়ছে বান।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রবিবার রংপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।