আশার আলো নাকি প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি

ঝর্ণা মনি
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
দুবাইয়ে জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলন কনফারেন্স অব পার্টিজে (কপ-২৮) একটি নতুন চুক্তির বিষয়ে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছিল, যেখানে প্রথমবারের মতো তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বের প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা নতুন চুক্তিতে ধীরে ধীরে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন। বিশ্ব নেতারা সবাই মেনে নিয়েছেন- ভবিষ্যতে গ্যাসের নিঃসরণ আরো বাড়বে; যদিও উন্নত কিংবা অনুন্নত দেশ ভেদে এর মধ্যে পার্থক্য থাকবে।
এছাড়া বিশ্ব উষ্ণায়ন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামিয়ে আনা, উন্নত দেশগুলোকে অভিযোজন এবং প্রশমনে ৫০:৫০ ভিত্তিতে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন, উন্নত দেশগুলোকে স্বল্প খরচে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব গ্রিন টেকনোলজি সরবরাহসহ পরিবেশ উন্নয়নের একগুচ্ছ টেকসই পরিকল্পনার আশা জাগানিয়া স্বপ্ন দেখিয়েছিল কপ-২৮ সম্মেলন। গেলবার দুবাইয়ে বৈশ্বিক জলবায়ুর বিশ্ব আসরে বিশ্ব নেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতির এক বছরেও প্রাপ্তির ঝুলি প্রায় শূন্য। গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে বিশ্বনেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, উষ্ণায়ন কমানোয় অগ্রগতি না হওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার মুখোমখি হয়েছে বিশ্ব। চলতি বছরের গ্রীষ্মই পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণকাল বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু সংস্থা কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস।
বিবিসি জানিয়েছে, গেল আগস্ট ছিল ১৪ মাসের মধ্যে ১৩তম সবচেয়ে উষ্ণ মাস, যখন বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে তহবিল গঠনেও আন্তরিক নয় জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী বিশ্ব মোড়লরা। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ঝুঁকি বাড়ছে। এনভায়রনমেন্টাল জাস্টিস ফাউন্ডেশন বলছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৫০ সেন্টিমিটার বাড়লে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ১১ শতাংশ স্থলভাগ ডুবে যাবে। দুর্ভোগ নেমে আসবে উপকূলের আনুমানিক ১৫ মিলিয়ন মানুষের জীবনে।
পরিবেশের এসব ঝুঁকির মধ্যেই সোমবার থেকে আজারবাইজানের বাকুতে শুরু হয়েছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৯)। চলবে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের আসরে ৭০ হাজারের বেশি প্রতিনিধির যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। অংশ নিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসসহ বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল।
আরো পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের ৩ মাস পূর্তি : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উল্লেখযোগ্য অর্জন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জরুরিভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো, স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করা, জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য প্রভাবগুলোর সঙ্গে অভিযোজন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ুসংক্রান্ত কাজে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি। নতুবা জলবায়ু সম্মেলনের নামে বছর বছর টাকার শ্রাদ্ধ করা ছাড়া অর্জন শূন্যই থাকবে। বাংলাদেশের উচিত হবে প্যারিস চুক্তি, গ্লাসগো চুক্তি, দুবাইয়ে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলোর সফল বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি আদায় করা।
দায় শূন্য, দুভোর্গ বেশি : গত এক শতকে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও রাশিয়া পৃথিবীব্যাপী ৫৫ শতাংশের বেশি কার্বন নিঃসরণ করছে। অন্যদিকে, অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর দায় একেবারেই নগণ্য। বাংলাদেশের দায় এক্ষেত্রে মাত্র শূন্য দশমিক ৪৭ ভাগেরও কম। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকেই। বিজ্ঞানীদের ধারণা, জলবায়ুর এ পরিবর্তনের প্রভাবে ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বেড়ে যাবে। তাদের আশঙ্কা, এই ধারা অব্যাহত থাকলে এই শতাব্দীর শেষে সমুদ্রপৃষ্ঠে হারিয়ে যাবে বিশ্ব থেকে অন্তত ৪৩টি দেশ! বাংলাদেশেরও একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ডুবে যেতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, কপ ২৮-এ বাংলাদেশের কিছু ভালো অর্জন রয়েছে। জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা, অর্থের সহজলভ্য এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে ন্যায্য প্রাপ্তির পক্ষে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ তহবিল বরাদ্দের জন্য জলবায়ু অর্থায়নের পক্ষে দরকষাকষি করে অনেকাংশে সফল হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর ১০০ বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছিল। জলবায়ু তহবিলের অর্থ প্রাপ্তির জটিলতার বিষয় নিয়েও কথা বলেছিল বাংলাদেশ। ৭০০ মিলিয়ন ডলার লোকসান ও ক্ষতি তহবিল প্রতিষ্ঠা ছিল কপ ২৮-এর একটি মূল অর্জন। জলবায়ুজনিত দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এই উন্নয়নকে স্বাগত জানিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশ ন্যায়সংগত আন্তর্জাতিক অর্থায়নের পক্ষে কাজ করে আসছে। অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে নতুন অর্থায়ন প্রক্রিয়াগুলো কার্যকরী এবং সহজপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার ভিত্তিও তৈরি করেছে। আশা করা যায়, এর সুফল মিলবে অচিরেই। তাদের মতে, বাংলাদেশ এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে আমূল বদলে যাওয়া এক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। সম্মেলনটি বাংলাদেশের জন্য অভিযোজন, প্রশমন এবং ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতি অর্থায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। সে হিসেবে কপ-২৯ এ বাংলাদেশ জলবায়ুসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ, উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য অর্জনে বৈশ্বিক পদক্ষেপের দাবিদার। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতি নিরূপণ করার জন্য একটি ক্লাইমেট ভালনারিবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট করা হয়েছিল।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার জন্য একদম দায় নেই বাংলাদেশের। কিন্তু দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া বদলে গেছে চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়ায়। জলবায়ু উদ্বাস্তু বাড়ছে। ঢাকার বায়ু খুবই দূষিত। খাদ্য দূষণ সর্বত্র। খাদ্য উৎপাদন থেকে সংরক্ষণ সবক্ষেত্রেই দূষণ হচ্ছে। এক্ষেত্রে বৈশ্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, কপ সম্মেলনে বাংলাদেশের আহ্বান থাকবে- যে কাজের আমরা দায়ী নই, তার দায়ভার এড়ানোর জন্য আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা করা, পর্যাপ্ত তহবিল গঠন করা, জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনে সহযোগিতা করা।
আরো পড়ুন: আজারবাইজানে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীরা
‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’ চাইবে বাংলাদেশ : সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলা?দেশ যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, সেটি তুলে ধরা হবে সম্মেলনে। এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের পূর্বাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তুলে ধরা হবে। উন্নত দেশগুলো থেকে সবুজ প্রযুক্তিতে সহায়তা চাইতে পারে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ড. ইউনূস ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন। জলবায়ু সম্মেলনের বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রাখবেন তিনি। এছাড়া সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ যেসব বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করছে, কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে তার জন্য ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন তিনি। এছাড়া ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’, প্যারিস চুক্তির তহবিল এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের কথা বৈশ্বিক এই জলবায়ু সম্মেলনে উপস্থাপন করতে পারে বাংলাদেশ।
এদিকে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন শুরুর আগে বিবৃতিতে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশগুলোর জোট জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ঋণ হিসেবে যে অর্থ দেয়া হচ্ছে, তাতে এলডিসি দেশগুলোর অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ১ ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। যদি এই পরিমাণ অর্থ দেশগুলো না পায়, তাহলে এলডিসি দেশগুলোতে দুর্ভোগ বাড়বে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী বলেন, ঢাকাসহ বাংলাদেশের নগর কেন্দ্রগুলো তাপপ্রবাহ, বায়ুদূষণ এবং জলাবদ্ধতার কারণে তীব্র জলবায়ু হুমকির সম্মুখীন। টেকসই নগর উন্নয়ন এবং জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামোর ওপর কপ-২৯ এ কার্যকর অংশ নেয়া বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ এনে দিতে পারে।
অর্থায়ন-অভিযোজন-তহবিল গঠনে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের : বাংলাদেশ ২০০৯ সালে উন্নত দেশগুলোর দ্বারা প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলার বার্ষিক লক্ষ্যের বাইরে বৈশ্বিক জলবায়ুতে একটি নতুন অর্থায়নের সংস্থান চায়। ২০৩০ সালের মধ্যে জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনের প্রয়োজন মেটাতে প্রায় ৯০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। তাই আন্তর্জাতিক উৎস থেকে আর্থিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ। কপ-২৯ সম্মেলন বাংলাদেশকে সহজলভ্য এবং পর্যাপ্ত জলবায়ু অর্থায়নের জন্য দরকষাকষির একটি উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশ জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা পরিকল্পনা, উপকূলীয় বনায়ন, উন্নত জল ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপক কৃষি অনুশীলনের ওপর গুরুত্বারোপ করে। কপ-২৯ জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপিএস) বাস্তবায়নের ওপর জোর দেবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে জনসাধারণকে রক্ষা করার জন্য পরিকল্পিত অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সমর্থন করবে বাংলাদেশ; অভিযোজন তহবিলের অতিরিক্ত প্রতিশ্রুতির জন্য চাপ দেবে বলেও আশা করা হচ্ছে। কপ-২৯ সম্মেলনে অর্থায়ন-অভিযোজন-তহবিল গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশকে জোরালো আওয়াজ তুলতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান ভোরের কাগজকে বলেন, কপ-২৯ সম্মেলনে বাংলাদেশের মূল চাওয়া হবে জলবায়ু পরিবর্তনে মূল উপাদান কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ যত দ্রুত সম্ভব কমিয়ে আনার জন্য উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানানো। প্লান অব অ্যাকশনের ক্ষতিপূরণ যেন দ্রুত পাওয়া যায় এর বাস্তবায়ন করা। অভিযোজন করার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বাজেট সাপোর্ট ও তহবিল গঠন। আর এসব ফান্ড পেলেই হবে না, ফান্ডকে সঠিকভাবে সঠিক কাজে ব্যবহার করার জন্য কর্মকৌশল ঠিক করতে হবে।