পণ্য না কিনেও ভোক্তারা প্রতিবাদ করতেই পারেন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

শুধু শুল্ক কমানো নয়, ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে হলে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে। কারণ আমাদের সব শ্রেণির ব্যবসায়ীর অতি মুনাফার প্রবণতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান।
তিনি বলেন, বাজার দিন দিন অস্থির হয়ে উঠছে। দেশের বাজার ব্যবস্থায় সিন্ডিকেট নামক ভূত বছরের পর বছর বহাল তবিয়তে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে! আর তাই ছয় পণ্যে শুল্ক-করছাড় থাকলেও উল্টো দাম বাড়ছে। সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ ভোক্তারা।
তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনই শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়লে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া পণ্য না কিনে ভোক্তারা প্রতিবাদ করলে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি। সরকার ৫ পণ্যের দাম বেঁধে দিলেও বাজারে প্রভাব নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, দাম নির্ধারণ করে দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে বিশ্বাস করলে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও উন্নতি করতে হবে।
উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। সর্বোপরি বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। এটা না করা গেলে দাম বেঁধে দিয়ে খুব একটা সুফল মিলবে বলে মনে করি না। ক্যাবের সাবেক এ সভাপতি বলেন, বারবার সিন্ডিকেটের কথা বলা হয়ে থাকে। সিন্ডিকেট থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে মানুষের আরো বেশি কষ্ট হবে।
গোলাম রহমান বলেন, বাজার ঠিক করতে ভোক্তাকে প্রতিবাদী হতে হবে। যখন একটি পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয় তখন ক্রেতারা তা কিনবেন না। প্রয়োজন বিবেচনা করে কম কিনবেন কয়েকদিন। এভাবেই সরকারের সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতারাও বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে ভূমিকা রাখতে পারেন।