×

প্রথম পাতা

যে ভোটারে নজর কমলা-ট্রাম্পের

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

যে ভোটারে নজর কমলা-ট্রাম্পের
   

দুয়ারে কড়া নাড়ছে মার্কিন নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে অর্থনীতি, অভিবাসন, মূল্যস্ফীতি ও গর্ভপাতের অধিকারের বিষয়গুলো বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। বেশির ভাগ ভোটারেরই উদ্বেগের মূল কারণ অর্থনৈতিক ইস্যু। তবে এই অগ্রাধিকার তালিকায় গর্ভপাতের অধিকার ইস্যুটিও খুব বেশি পিছিয়ে নেই, বিশেষ করে নারীদের মধ্যে। নারী ভোটাররা ঝুঁকছেন ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসের দিকে। এদিকে তরুণ ভোটারদের, বিশেষ করে যারা প্রথমবার ভোট দেবেন, তাদের সমর্থন আদায়ে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর আরব বংশোদ্ভূত আমেরিকান এবং মুসলিম ভোটাররা গাজা এবং লেবাননে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন। মুসলিম ভোটারদের টানতে নানা প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন ট্রাম্প ও কমলা দুজনই।

যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় স্তরে ভারতীয়-আমেরিকান ব্যক্তিত্বদের প্রভাবের পাশাপাশি, এই সম্প্রদায়ের জনসংখ্যাতাত্ত্বিক সুবিধা ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে যে কোনো এক পক্ষের দিকে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। নিউইয়র্ক সিটির আপার ইস্ট সাইডের অভিজাত হোটেল ‘দ্য পিয়ের’-এ সম্প্রতি আয়োজিত ‘অল দ্যাট গিøটার্স দিওয়ালি বল’ অনুষ্ঠানে শামিল হন শত শত প্রভাবশালী ভারতীয়-আমেরিকান ব্যক্তিত্ব। দীপাবলি বা দিওয়ালির আবহে অক্টোবরের সন্ধ্যায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন বলিউড অভিনেতা থেকে শুরু করে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার সিইওরা।

চোখ ধাঁধানো পোশাক এবং ভারী গয়না পরে এই ককটেল পার্টিতে হাজির হয়ে একে অন্যের সঙ্গে গল্পে মশগুল হন আমন্ত্রিতরা। তবে এই আয়োজন দিওয়ালি উদযাপনের জন্য হলেও যে আলোচনা এই অনুষ্ঠানকে মাত করে রাখে, তা হলো ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ের সর্বশেষ রাজনৈতিক মাইলফলক। কারণ, কমলা হ্যারিস দক্ষিণ এশীয় ঐতিহ্যের প্রথম ব্যক্তিত্ব যিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী। দলের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি অনুমোদন পেয়ে মনোনীত হয়েছেন তিনি। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর চ্যালেঞ্জ হলো অভিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই ‘উৎসাহ’কে সঞ্চারিত করা। এই ক্রমবর্ধমান অভিবাসী জনগোষ্ঠী ক্যালিফোর্নিয়া ও নিউইয়র্ক ছাড়িয়ে এরই মধ্যে জর্জিয়া, মিশিগান ও পেনসিলভানিয়ার মতো ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

এবারের নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্ব›দ্বী কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প- দুজনেই ইন্ডিয়ান-আমেরিকানদের নিজের দিকে আকৃষ্ট করার ব্যাপক চেষ্টা করে চলেছেন। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে এশীয়-আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে বৃহত্তম এবং রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় গোষ্ঠী হলো ভারতীয় আমেরিকানরা। ২০২৪ সালে ‘এএপিআই ডেটা’র ভোটার-সংক্রান্ত জরিপ বলছে, ভারতীয়-আমেরিকান ভোটারদের অর্ধেকেরও বেশি (৫৫ শতাংশ) ডেমোক্র্যাটপন্থী আর নিজেদের

রিপাবলিকান হিসেবে চিহ্নিত করেন এমন ভোটারের সংখ্যা ২৬ শতাংশ। তবে ওই জরিপ অনুযায়ী এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে দেখা গেলেও ২০২০ সাল থেকে ডেমোক্র্যাটপন্থী ভারতীয়-আমেরিকানদের সংখ্যা কমছে।

‘হিন্দু কোয়ালিশন অব দ্য রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি’র চেয়ারম্যান শলভ শল্লি কুমার জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবির দরজায়-দরজায় গিয়ে প্রচারের মাধ্যমে ভারতীয়-আমেরিকান ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে চেয়েছে। ভারতীয় আউটলেটের সমর্থনও পেতে চেয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অপরাধ, শিক্ষা এবং অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরে দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের মানুষকে রিপাবলিকানদের প্রতি আকৃষ্ট করতে চেয়েছে ট্রাম্পের প্রচার শিবির। এই বিষয়গুলোকে এশিয়ান-আমেরিকান বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখেন।

তরুণ ভোটারদের কাছে টানছেন ট্রাম্প : রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে লড়ছেন। তরুণ ভোটারদের, বিশেষ করে যারা প্রথমবার ভোট দেবেন, তাদের সমর্থন আদায়ে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।

আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিন ১৮তম জন্মদিনের কেক কাটার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ক্যামরন। আটলান্টায় জর্জিয়া প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত সোমবার ট্রাম্পের একটি নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নেন তিনি। এ সময় হাইস্কুলপড়ুয়া এই ভোটারের মাথায় ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবিসহ লাল রঙের একটি টুপি। তা দেখে সহজেই আন্দাজ করা যায় তিনি কাকে ভোট দেবেন।

ক্যামরন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে এখন যা হচ্ছে, তা অনেক তরুণই পছন্দ করে না।’ তার ধারণা, ডেমোক্র্যাটরা এলজিবিটিকিউ এজেন্ডা এবং ট্রান্সজেন্ডার এজেন্ডার পেছনে খুব বেশি সময় ব্যয় করছেন। অথচ মানুষের নিত্যদিনের সমস্যা সমাধানে পর্যাপ্ত সময় দিচ্ছেন না তারা। এই হাইস্কুলপড়ুয়া আরো বলেন, ‘তরুণ সমাজ এখন আর এসব চায় না। তারা একজন শক্তিশালী ও ক্ষমতাধর নেতা চায়, যার মেরুদণ্ড আছে। তারা শ্রদ্ধা ও সম্মান করার মতো একজনকে চায়।

ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নেন ১৮ বছর বয়সি সিজার ভিয়েরা। এ সময় তার কাঁধে একটি মার্কিন পতাকা ঝুলছিল। তিনি বলেন, ‘তরুণ আমেরিকানদের জন্য ট্রাম্প অপেক্ষাকৃত ভালো। এই মুহূর্তে আমাদের অর্থনীতির জন্য তিনিই সেরা।’ সিজার ঘরবাড়ি সংস্কারের কাজ করেন। কিন্তু কখনো নিজের একটি বাড়ি বানানোর সামর্থ্য হবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কিত।

নির্বাচিত হলে ৭৮ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে সবচেয়ে প্রবীণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন তিনি। তবে ট্রাম্পের বয়স নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় সিজার। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বয়স কোনো ব্যাপার নয়, তিনি মানসিকভাবে কেমন করছেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

নারী ভোটাররা ঝুঁকছেন কমলার দিকে : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৩ দিন। এরই মধ্যে ভোটারদের মন জয় করতে নানা ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রæতিও। তবে এবারের নির্বাচনে ‘গর্ভপাতের অধিকার রক্ষার’ প্রতিশ্রæতির জন্য নারী ভোটাররা ঝুঁকছেন ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিসের দিকে। এমনকি, নিবন্ধিত রিপাবলিকান অনেক নারীও ভোট দিতে চান কমলাকে।

এবারের নির্বাচনের দোদুল্যমান রাজ্য বা সুইং স্টেট অ্যারিজোনার একজন নিবন্ধিত রিপাবলিকান মিশেল অ্যালেন জানান, তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ভোট দেয়ার পরিকল্পনা করছেন। কারণ কমলা গর্ভপাতের অধিকার রক্ষায় ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। মিশেল বলেন, গর্ভপাত বিষয়টি কতটা জটিল, তা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন ট্রাম্প। এ কারণে তিনি ‘অ্যাফোরডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ (সাধ্যের মধ্যে সেবা-সংক্রান্ত আইন) প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রæতি দেন। বারাক ওবামার আমলে ওই আইন পাস হয়েছিল।

এদিকে সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প গত মঙ্গলবার ‘ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নারীদের গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে সমর্থন জানান। তিনি বলেন, আমার স্বামী আমাদের দেখা হওয়ার প্রথম দিন থেকেই আমার অবস্থান, আমার বিশ্বাস সম্পর্কে জানেন। তাই এটা তার জন্য খুব একটা বিস্ময়ের ছিল না।

মুসলমানদের অনেকেই ট্রাম্পকে ভোট দিচ্ছেন : এবার এমন সময় মার্কিন নির্বাচন হচ্ছে, যখন মধ্যপ্রাচ্য অস্থির। এক বছর ধরে চলা গাজায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ তো থামেইনি বরং যুদ্ধ বেঁধেছে লেবাননে। আরব বংশোদ্ভূত আমেরিকান এবং মুসলিম ভোটাররা গাজা এবং লেবাননে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

যুক্তরাষ্ট্রে মোট জনসংখ্যার ২ থেকে ৩ শতাংশ মুসলমান। সর্ববৃহৎ মুসলিম সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্সের (কেয়ার) তথ্য অনুযায়ী রেজিস্টার্ড মুসলিম ভোটারের সংখ্যা ২৫ লাখ। এদিকে এমগেইস নামে একটি সংগঠনের তথ্য, ২০২০ সালের নির্বাচনে মুসলমান ভোটার ছিল ১৫ লাখ। তাদের মধ্যে ৫২ শতাংশ ভোট দেন।

এবারের নির্বাচনে দোদুল্যমান ৭টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে একটি মিশিগান। ইলেক্টোরাল ভোট ১৬টি। এখানে মুসলমান ভোটারের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে তা যে কোনো প্রার্থীর বিজয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। ২০২০ সালের নির্বাচনে ১ লাখ ৫৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে ট্রাম্পকে হারান বাইডেন।

এরই মধ্যে মিশিগানে এক-চতুর্থাংশ ভোটার আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। জানা গেছে, ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ ও ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচারে গণহত্যার কারণে মুসলমানদের অনেকেই এবার ট্রাম্পকে ভোট দিচ্ছেন। তারা মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের জন্য বাইডেন-কমলা প্রশাসন দায়ী। আবার কেউ কেউ বেছে নিচ্ছেন তৃতীয় শক্তি গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জিল স্টেইনকে।

গত এক বছর ধরে গাজায় চলা ইসরায়েলের অবর্ণনীয় নিষ্ঠুরতায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। গত সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননেও অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে মুসলিম ভোটাররা হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে। আর তাই মুসলিম ভোটারদের টানতে নানা প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন ট্রাম্প ও কমলা দুজনই।

ভোটারদের কাছে ট্রাম্পের প্রতিশ্রæতি, মধ্যপ্রাচ্যে আমি আক্ষরিক অর্থে শান্তি ফেরাতে চাই। লেবাননে ধ্বংস এবং দুর্ভোগ কমিয়ে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চাই। গত বুধবার এক্স হ্যান্ডলে ট্রাম্প লিখেছেন, আমার প্রশাসনের সময়, আমরা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বজায় রেখেছি এবং খুব শিগগিরই আমরা আবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনব।

ট্রাম্প বলেন, আমি কমলা হ্যারিস এবং জো বাইডেনের কারণে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করব এবং লেবাননে দুর্ভোগ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করব। আমি মধ্যপ্রাচ্যে প্রকৃত শান্তি দেখতে চাই। সেখানে একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করব।

ট্রাম্প আরো লিখেছেন, আমি লেবাননে আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার, তাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স¤প্রীতির সঙ্গে বসবাস করার যোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই। এটি শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতার মাধ্যমেই সম্ভব। আমি আশাবাদী লেবাননের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত লেবানিজ স¤প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে শান্তির জন্য আমাকে ভোট দিন।

শুধু মুসলমান ভোটারই নয়, কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প- দুই শিবিরে বিভক্ত হয়েছেন বাংলাদেশি ভোটাররাও। এদিকে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীই নির্বাচিত হলে যুদ্ধ বন্ধ ও ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App