নিত্যপণ্যের বাজার: ‘অদৃশ্য’ সিন্ডিকেটের কারসাজি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ত্রুটিপূর্ণ বাজার ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন হয়ে পড়েছে বলে ওঠে এসেছে ঢাকা চেম্বারের এক গবেষণায়। পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার পেছনে অদৃশ্য সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে দাবি করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। তিনি জানান, ভোগ্যপণ্য উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহের কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। বাজারের এমন অসঙ্গতির সুযোগ নিচ্ছে অসাধু বিক্রেতারা।
সুফল পেতে সঠিক পরিকল্পনার তাগিদ ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনটির। অর্থনীতিবিদরাও মনে করেন, উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পণ্য পৌঁছাতে হাতবদলের হার কমিয়ে শক্তিশালী বিপণন কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
এদিকে, গত ৭ অক্টোবর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ও সরবরাহ পরিস্থিতি তদারকি এবং পর্যালোচনার জন্য জেলা পর্যায়ে ১০ সদস্যের বিশেষ একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সাধারণ ভোক্তারা মনে করেন, বাজার মনিটরিংয়ে এ টাস্কফোর্সের আরো শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে।
দেশের বর্তমান মূল্যস্ফীতি ও পণ্য বাজার নিয়ে গবেষণা ফল প্রকাশ করতে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। এতে তুলে ধরা হয় দাম বেড়ে যাওয়া ও বাজার ব্যবস্থাপনার নানা খুঁটিনাটি।
এদিকে, সংকট মুহূর্তে ব্যবসায়ীদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। নিত্যপণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় আলোচনা হয় ডিমের চড়া দামা নিয়েও। বাজার স্বাভাবিক রাখতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। সভায় অংশ নেয়া এক ব্যবসায়ী বলেন, ক্রাইসিস মুহূর্তে ডিমগুলোকে বাজারে সরবরাহ করলে ভোক্তার জন্য উপকার হয়। ক্ষুদ্র খামারিদের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তারপর আপনি কোম্পানির বিষয়টা দেখেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য আমরা ভাঙব। তিনি বলেন, বাজার সিন্ডিকেট আজকের নয়, এটি বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে সমস্যা। আমি জানি না পৃথিবীর কোনো দেশে এত মধ্যস্বত্বভোগী আছে কিনা এবং তারা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করে।
তিনি আরো বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য এ সরকারের সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু তথ্যউপাত্ত আর আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। পরিবর্তন হচ্ছে, এটা আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন।
বাজার সিন্ডিকেট নিয়ে অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যসহ অনেক কৃত্রিম বাধা সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত নিয়মনীতিগুলো মানছেন না। বাজার নিয়ন্ত্রণে এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্যানুযায়ী, ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, মাছ ও চায়ের মতো পণ্য যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফল। আর দেশের সরকারি সংস্থা
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে দৈনিক ৫ কোটি পিস ডিমের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ৫ কোটি ৮০ লাখ, যা দরকারের চেয়েও বেশি। এক দশকে দুধ উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। আর প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে মাংস উৎপাদন। অথচ এসবের কোনো প্রভাবই নেই বাজারে। নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। জনমনে তৈরি হওয়া ক্ষোভ প্রশমনে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। এর অংশ হিসেবে এবার কয়েকটি নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক কমিয়ে বাজারে স্বস্তি ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন তথ্যউপাত্তে দেখা গেছে, কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ডিমের বাজার। ডিমের ডজন দুশর ঘর ছুঁইছুঁই। এই অবস্থায় নিত্যপণ্যটি পাশের দেশ ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশের বাজারে এসে সেই ডিমের দাম যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে এজন্য পণ্যটির আমদানি শুল্ক ২০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় দেশের বাজারেও ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে পণ্যটির দাম স্বাভাবিক রাখতে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশ এবং উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপিত সমুদয় মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। এর আগে চিনি আমদানিতে শুল্ক অর্ধেক করেছে সরকার।
দুই মাসের কিছু সময় বেশি বয়সি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বড় দুর্ভাবনা নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। যে কোনো উপায়ে দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে চায় সরকার। এজন্য দরকারি কিছু উদ্যোগের পাশাপাশি কেউ যেন কারসাজি করে বাজার অস্থির করে না তুলতে পারে সেই নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না ঊর্ধ্বমুখী বাজারের।
ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ সেমিনারে বলেন, আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি- সাপ্লাই, ট্রান্সপোর্টেশন ও প্রসেসিং- এই তিনটি ফ্যাক্টর যখনই আমরা হোলসেল স্টেজে এক করছি, তখনই দেখা যাচ্ছে, অনেক জায়গায় বড় ধরনের কস্ট ইনফ্লেশন হয়েছে। তিনি বলেন, পণ্য উৎপাদন খরচের ক্রমাগত উচ্চ মূল্য, অদক্ষ বাজার ব্যবস্থা, পণ্য পরিবহনের উচ্চ হার, বাজার আধিপত্য এবং উৎপাদনকারীদের খুচরা বাজারে প্রবেশাধিকারে স্বল্প সুযোগ; প্রভৃতি কারণ আমাদের স্থানীয় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে প্রভাব ফেলে।
এছাড়া কৃত্রিম সংকট, ঋণপত্র খোলায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা, টাকার মূল্যমান কমে যাওয়া, সাপ্লাইচেইন ব্যবস্থায় অদক্ষতা প্রভৃতি বিষয়সমূহ পণ্যের ওঠানামায় ভূমিকা রাখছে। জরিপে দেখা যায়, উৎপাদন উপকরণের দাম বাড়ার চাপ পড়ায় উৎপাদক পর্যায়ে মোটা চাল, মিহি চাল, পেঁয়াজ, রুই মাছ ও আলু, মসুর ডাল, কাঁচা মরিচ, হলুদ, লাল মরিচ, আদা ও রসুনের মতো বেশির ভাগ পণ্যের দাম বাড়ছে।
আশরাফ আহমেদ বলেন, উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়লেও উৎপাদকরা ন্যায্য দাম পান না। কখনো কখনো, দাম বাড়ানোর জন্য পরোক্ষ খরচ জড়িত হয়। আমরা যদি স্টোরেজ, পরিবহন এবং পণ্য প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ে উৎপাদন খরচ কমাতে পারি; তাহলে দাম তুলনামূলকভাবে কমে আসবে বলে ডিসিসিআই সভাপতি মতপ্রকাশ করেন।
অধিকন্তু, তিনি পচনশীল পণ্যের অপচয়ের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, শুধু প্রক্রিয়াকরণ এ বিশাল ক্ষতি রোধের জন্য একটি ভালো সমাধান হতে পারে। এছাড়াও তিনি একটি নিখুঁত নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য যথাযথ সরবরাহ এবং চাহিদাভিত্তিক তথ্যপ্রাপ্তি, তথ্য বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি একটি ট্যারিফ ক্যালেন্ডার প্রণয়নের প্রস্তাবনা পেশ করেন।
এর মাধ্যমে দেশীয় মৌসুম ছাড়াও পূর্বঘোষিত সময়সীমা অনুসারে আমদানি শুল্ক কমানো অথবা বাড়ানো যেতে পারে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সামগ্রিক সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও স্যাটেলাইট প্রযুুক্তির ব্যবহার করে কৃষিপণ্য উৎপাদন চিহ্নিতকরণের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে ঢাকা চেম্বারের নির্বাহী সচিব (গবেষণা) এ কে এম আসাদুজ্জান পাটোয়ারী বলেন, পণ্যের দাম বাড়ার পেছনে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া, কম সরবরাহ, অদক্ষ বাজার ব্যবস্থাপনা, উচ্চ পরিবহন খরচ এবং বাজারের আধিপত্য, সীমিত দর কষাকষির ক্ষমতা এ গবেষণায় উঠে এসেছে। কৃত্রিম সংকট, এলসি খোলার সমস্যা, মৌসুমি পণ্যের দামের তারতম্য, টাকার অবমূল্যায়ন, সরবরাহ চেইনের অদক্ষতা, অপর্যাপ্ত স্টোরেজ সুবিধা এবং উৎপাদকদের সীমিত বাজারে প্রবেশাধিকার প্রভৃতি বিষয়গুলো পণ্যের দাম ওঠানামার জন্য দায়ী। বর্তমান খাদ্য মূল্যস্ফীতির প্রধান কারণ হলো প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা, উৎপাদন ও আমদানির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব।
এছাড়াও অদক্ষ বাজার ব্যবস্থাপনা এবং তথ্যের অসামঞ্জস্যতা, স্থানীয় উৎপাদন হ্রাস এবং উচ্চ পরিবহন খরচ, কীটনাশকসহ সার-বীজ-তেল ও ওষুধের উচ্চ দাম এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর সুনিদিষ্ট তথ্যভিত্তিক গবেষণা পরিচালনার সুপারিশ করা হয়েছে, যেন সরকার কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হয়। খাদ্যপণ্য সময় মতো সরবরাহ নিশ্চিত করতে আরো ভালো পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো, পণ্যের অপচয় রোধে আরো স্টোরেজ সুবিধা সম্প্রসারিত করার উপর জোর দেয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. সায়েরা ইউনুস বলেন, শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে পণ্যের দাম কমানো সম্ভব নয়, এজন্য সরকারকে প্রান্তিক পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রায় ৯ বার পলিসি রেট পরিবর্তন করলেও বাজারে এর প্রভাব তেমন উল্লেখজনক নয়।
তিনি উল্লেখ করেন, দাম বাড়ার পেছনে আমদানির বিষয়টিও অত্যন্ত জরুরি, কারণ কোভিডপরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সাপ্লাইচেইন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে আমাদের স্থানীয় পণ্য উৎপাদন ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ট্রেড সাপোর্ট মেজারস উইংয়ের যুগ্ম সচিব ড. সাইফ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, আমাদের বার্ষিক পণ্যভিত্তিক কোনো ‘প্রডাক্ট ক্যালেন্ডার’ নেই, তবে পরিসংখ্যানভিত্তিক এ ধরনের ক্যালেন্ডার থাকলে সরকারের পক্ষে পণ্য আমদানি শুল্কায়নসহ অন্য সিদ্ধান্ত নেয়া অনেক সহজ হতো। তিনি উল্লেখ করেন, প্রতি বছর আমাদের আবাদি জমি ১ শতাংশ হারে কমছে; ফলে কৃষিভিত্তিক পণ্য উৎপাদন ক্রমাগত হারে কমে যাচ্ছে, এর কারণে আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে।
তিনি বলেন, বতর্মানে কৃষি খাতে আমাদের ভর্তুকি ৪-৫ শতাংশ, যেটিকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় ১০ শতাংশ এ উন্নীত করা সম্ভব হলে, স্থানীয় উৎপাদনশীলতা আরো বাড়বে। এছাড়াও তিনি ক্রস বর্ডার বাণিজ্য প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা, আমদানি খরচ কমানো, বন্ডেড ওয়্যার হাউস সুবিধা সম্প্রসারণ, ব্যাক টু ব্যাক এলসি সুবিধা বাড়ানো প্রভৃতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের যুগ্ম প্রধান মো. মশিউল আলম বলেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদন ও আমদানির মাধ্যমে আমরা পণ্যের চাহিদা মিটিয়ে থাকি, তবে ‘সিজিওন্যাল ট্যারিফ’ অথবা ‘ট্যারিফ ক্যালেন্ডার’ প্রবর্তনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা করা যেতে পারে, যার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের মৌসুমে শুল্ক কমানো বা বাড়ানো যেতে পারে। ফলে আমাদের উৎপাদকরা যেমন উপকৃত হবেন সেই সঙ্গে পণ্য আমদানি প্রক্রিয়াও সহজতর করা সম্ভব।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপপরিচালক (সেনসাস উইং) স্বজন হায়দার বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিসংখ্যান ব্যুরো মূল্যস্ফীতি নির্ধারণে দেশব্যাপী প্রায় ৩৪২টি পণ্যের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে, এক্ষেত্রে পণ্যের সরবরাহ ও দামের মধ্যকার একটি কার্যকর যোগসাজসের বিষয়টি তীব্রভাবে প্রতীয়মান রয়েছে।