×

প্রথম পাতা

একান্ত সাক্ষাৎকার : ড. বদিউল আলম মজুমদার

নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের রোডম্যাপ হবে ঐকমত্যে

Icon

ঝর্ণা মনি

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের রোডম্যাপ হবে ঐকমত্যে

ড. বদিউল আলম মজুমদার

   

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, দেশে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অনেক বাধা। এসব বাধা চিহ্নিত করতে অংশীজনের সঙ্গে একাধিক আলোচনা করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করা গেলে দেশ ভালো চলবে। এটি কারো একক দায়িত্ব নয়। এখানে বহু পক্ষ জড়িত। সবাইকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অতীতে নির্বাচনের নামে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলুষিত করা হয়েছে। যা গণতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। রাজনীতিবিদদের বদলে নির্বাচনে ব্যবসায়ীতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সব অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারে রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। সেইসঙ্গে অতীতে যারা নির্বাচনের নামে জাতির সঙ্গে প্রহসন করেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলুষিত করেছেন, তাদের শাস্তির জন্য সুপারিশ করা হবে।

গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজ কার্যালয়ে ভোরের কাগজের সঙ্গে কথা বলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার। এসময় কমিশনের অগ্রাধিকার, সংকটের নেপথ্যে কী ছিল; আর তা থেকে উত্তরণে কী ধরনের সুপারিশ থাকবে তা তুলে ধরেন তিনি। তার পুরো সাক্ষাৎকারটি প্রশ্নোত্তর আকারে পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমাদের সিনিয়র রিপোর্টার ঝর্ণা মনি-

ভোরের কাগজ : নির্বাচন কমিশন সংস্কার নিয়ে আপনার লড়াই দীর্ঘদিনের। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে এখন আপনার জার্নিটা কিভাবে শুরু করবেন?

ড. বদিউল আলম মজুমদার : আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও সম্মানিত বোধ করেছি। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার ছিলাম। আমি ছাড়াও আমাদের অনেক সহযোগী, স্বেচ্ছাসেবীরাও এ কাজের সহযোদ্ধা। এটি আমাদের সবার কাজের স্বীকৃতি। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের গণতন্ত্রকে কার্যকর করার এটা একটি বড় সুযোগ। বর্তমানে আমাদের দেশে যে ধরনের রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে তা দীর্ঘদিন সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার কারণে, একতরফা নির্বাচন হওয়ার ফলে। আমরা যদি একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে পারি তাহলে যে ধরনের মর্মান্তিক ঘটনাগুলো ঘটেছে, ব্যাপক জনবিস্ফোরণ ঘটেছে, হাজারো মানুষের প্রাণহানি, এত মানুষের আত্মত্যাগ, তাদের প্রতি সম্মান জানানো হবে। যে সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে এর প্রথম পদক্ষেপ হবে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। এটি বিরাট সুযোগ এবং অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব।

ভোরের কাগজ : বিরোধী আসনের সোচ্চার কণ্ঠ এখন চালকের আসনে। সংস্কারে কি কি বিষয়কে প্রাধান্য দেবেন?

ড. বদিউল আলম মজুমদার : আমরা এখনো কাজ শুরু করিনি। অনেক ক্ষেত্রেই সংস্কার দরকার। ২০২২ সালে আমাদের যেই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন হয়েছিল, এটি কোনো আইন নয়। আগে যে প্রজ্ঞাপন ছিল, এই প্রজ্ঞাপনটাকে আইন হিসেবে পার্লামেন্টে পাস করা হয়েছে। শুধু একটা জিনিস যুক্ত করেছে, একটা দায়মুক্তির বিধান যোগ করেছে। এই আইনটি সংশোধন করতে হবে। আমাদের অনেক নির্বাচনী আইন আছে; যেমন-গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন। ভোটার তালিকা তৈরির আইন আছে, সীমানা প্রতিনির্ধারণের আইন আছে- এ রকম অনেক আইন আছে। এই আইনগুলোও সঠিক ও কার্যকর হতে হবে। আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সঠিক হতে হবে। তবে আরপিওটি মোটামুটি গ্রহণযোগ্য, অন্যান্য আইনও। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ আইনটি সঠিক নয়। এই আইনগুলো সংস্কার করে তার আলোকে নিয়োগ দিতে হবে। যেমন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইনের ভিত্তিতে সঠিক ব্যক্তিদের স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে, যাতে তারা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ হন। কোনো দলের প্রতি তাদের আনুগত্য যেন না থাকে। এর বাইরে হলফনামার ছকের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। হলফনামা যাচাই-বাছাই করে দেখতে হবে। নির্বাচনী ব্যয় যাচাই-বাছাই করে দেখতে হবে। এই কার্যক্রমগুলোই হবে আমাদের সংস্কার প্রস্তাবের অন্যতম অগ্রাধিকার।

ভোরের কাগজ: নির্বাচনী ব্যবস্থায় কী ধরনের সংস্কার আপনারা আনতে চান?

ড. বদিউল আলম মজুমদার : সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে আমাদের অনেকগুলো বাধা। এটি অত্যন্ত দুরূহ কাজ। আগের নির্বাচনগুলো কলুষিত হয়েছে। বড় বাধা হচ্ছে- নির্বাচনে যারা অংশীজন তারা সঠিক ভূমিকা পালন করে না। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের কথা বলা হয়েছে এবং তাদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করা হয়েছে যেন তাদেরকে পদচ্যুতি না করতে পারে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে অনেক বিতর্ক, অনেক অভিযোগ। তারা সবচেয়ে বড় অংশীজন হয়েও সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না। তারপর সরকারের অঙ্গ হিসেবে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে না। এরপরই আসে রাজনৈতিক দলের কথা। তারা যদি সঠিকভাবে সহযোগিতা করে, ছলেবলে কৌশলে নির্বাচনী বৈতরণী পার না হতে চায় এবং গণমাধ্যম যদি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে, সত্য তুলে ধরে, নাগরিক সমাজও নজরদারির যে ভূমিকা পালন করা দরকার তা গুরুত্ব দিয়ে পালন করে- তাহলে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। এই সব অংশীজনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন কমিশন। দুঃখজনক হলেও সত্য বিগত তিনটি নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়েই ব্যাপক বিতর্ক ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালের আইনের মধ্যেই একটি বিধান আছে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের। কিন্তু বর্তমান বিধানের আওতায় কয়েকটি সাংবিধানিক বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিরা এই অনুসন্ধান কমিটির সদস্য হন। এসব ব্যক্তির নিয়োগই দেয়া হয় তারা যেন সরকারের প্রতি অনুগত থাকে। এই বিধানে আছে অন্তত দুজন ব্যক্তিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেয়া। আর সরকারের পক্ষ থেকে তাদের অনুগতদেরই নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। তারা যাকে চায় তাকেই নিয়োগ দিতে পারে এই সার্চ কমিটিতে। গত তিনটি কমিশন এভাবেই গঠিত হয়েছে। এটা হয়ে থাকে কখনো প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কখনো আইনের মাধ্যমে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমরা তো আর আম গাছ থেকে জাম পাবো না। আবারো যদি পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন হয়, মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন হয়, অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশন গঠিত হয় তাহলে তো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন পাব না।

ভোরের কাগজ : ক্ষমতায় গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো এই সংস্কার মানবে কী?

ড. বদিউল আলম মজুমদার : সংস্কার কাজে রাজনৈতিক সমঝোতা লাগবে। এটি না হলে সংস্কার টেকসই হবে না। আমাদের রাজনীতিবিদদেরই সংস্কারের মালিকানা দিতে হবে। একই সঙ্গে তাদেরও সংস্কার প্রস্তাব করতে হবে। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে তারা যখন যে ক্ষমতায় যাবে, এগুলো বাস্তবায়ন করবে। এ জন্য সংস্কারের বিষয়ে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোরও মতামত চাচ্ছি। আর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও নিশ্চয়ই এ উপলব্ধি আসছে। আমাদের সংস্কার কমিশন রাজনৈতিক ঐকমত্য ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সব প্রস্তাব জমা দেবে সরকারের কাছে। তবে আমাদের সুপারিশ আদৌ বাস্তবায়ন হবে কিনা সেটি নির্ভর করবে এটির স্বপক্ষে আমরা কতটা রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলতে পারি তার ওপর।

ভোরের কাগজ : কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় সংস্কার নিয়ে কি ভাবছেন?

ড. বদিউল আলম মজুমদার : আমাদের প্রথম কাজ হবে নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনি কাঠামোতে সংস্কার নিয়ে আসা। আমরা আইনটি সংস্কার করব যাতে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে গঠন করা যায়। কমিশন যেন কোনো দলের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে গঠিত না হয়। প্রাথমিক চিন্তায় আছে, সরকারি দলের একজন প্রতিনিধি, প্রধান বিরোধী দলের একজন প্রতিনিধি, তৃতীয় প্রধান দলের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের একজন প্রতিনিধি, গণমাধ্যমের একজন প্রতিনিধি থাকবে সার্চ কমিটিতে; যাতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা যায়। অনুসন্ধান কমিটি যেন সবার মতের ভিত্তিতে এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হয় তা আমাদের সংস্কারে অগ্রাধিকার পাবে। সার্চ কমিটি যাদের নাম প্রাথমিক বিবেচনায় নেবে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা এবং তাদের নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করা। এতে যারা পরিচ্ছন্ন নয়, তারা এ প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকবে। এর মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, আদালত, বিচারপতি, প্রশাসন, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম- সবার ভূমিকা এবং দায়বদ্ধতা রয়েছে। সংবিধানের মৌলিক কাঠামো সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচন। কলুষিত নির্বাচন গণতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোসহ অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ হবে। এরপর রোডম্যাপ হবে।

ভোরের কাগজ : তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আবার ফিরে আসবে কিনা?

ড. বদিউল আলম মজুমদার : পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের জন্য একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। আমিসহ চারজন এই রিট করেছি শুধু এটি নয়, ত্রয়োদশ সংশোধনী নিয়ে খায়রুল হকের যে রায় তা রিভিউয়ের জন্যও আমরা আবেদন করেছি। রায়গুলো আমাদের পক্ষে এলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আবার ফিরে আসবে। আমাদের সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারে যে ধরনের পরিবর্তন আনা দরকার তারা তা করবে।

ভোরের কাগজ : বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাই।

ড. বদিউল আলম মজুমদার : বিগত তিনটি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। ২০১৪ সালে আমাদের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালেও হরণ করা হয়েছে জালিয়াতির মাধ্যমে। ২০১৪ ছিল একতরফা নির্বাচন; মানুষের সামনে কোনো পছন্দ ছিল না, কোনো বিকল্প ছিল না। ২০২৪-এ আবারো একতরফা নির্বাচন। এই তিনটি নির্বাচন আমাদের সংবিধানের মৌলিক কাঠামো লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া তিনটি নির্বাচনেই আমাদের আদালতের আলতাফ হোসেন বনাম আবুল কাশেম মামলার রায় লঙ্ঘন করেছে। ওই মামলার রায়ে বলা আছে, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের খাতিরে নির্বাচন কমিশন আইনকানুন-বিধিবিধান সংযুক্ত/বিযুক্ত করতে পারে। তাদের সেই ‘ইনহেরেন্ট’ বা অন্তর্নিহিত ক্ষমতা দেয়া আছে। দিনকে রাত আর রাতকে দিন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা সবকিছুই করতে পারে। সেই তারাই যখন বলে আমাদের কাজ শুধু নির্বাচন করা, কেউ না এলে এলো না; তখন এটি সুস্পষ্টতই জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। কারণ তাদের সেখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে। গণতন্ত্রকে বেগবান করতে। কিন্তু তারা সেটি করেননি। বস্তুত এগুলো নির্বাচনের সংজ্ঞার মধ্যেই পড়ে না। বিশ্বাসযোগ্য বিকল্পহীন নির্বাচন কোনো নির্বাচনই নয়। আইনের অঙ্গনে বহুল ব্যবহৃত ‘ব্ল্যাকস ল ডিকশনারি’ অনুযায়ী, নির্বাচনের অর্থ হলো বিকল্প থেকে বেছে নেয়া।

ভোরের কাগজ : বিগত নির্বাচন থেকে নতুন নির্বাচনের সংস্কারে কোন কোন বিষয়কে প্রাধাণ্য দেবেন?

ড. বদিউল আলম মজুমদার : যারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছেন তাদের জন্য আইন রয়েছে। শাস্তির বিধান রয়েছে। দুই থেকে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ডের উল্লেখ রয়েছে। নুরুল হুদা কমিশনের ৪২ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আমরা কোনো উত্তর পাইনি। সংস্কারে নির্বাচনকে যারা কলুষিত করেছে তাদের বিচারের বিষয়টি উল্লেখ থাকবে। অন্তত কিছু লোকের হলেও তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি দেয়া উচিত। সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য। গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় সবাই অপরাধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। তাই নির্বাচনী অপরাধে অভিযুক্ত সব ব্যক্তিদের বিচারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।

ভোরের কাগজ : প্রতি নির্বাচনেই টাকার খেলা ও পেশিশক্তির ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয়। সংস্কারে এই বিষয়টি নিয়ে কি ভাবছেন?

ড. বদিউল আলম মজুমদার : নির্বাচনে এখন রাজনীতিবিদদের জায়গায় ব্যবসায়ীতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে টাকার খেলা, পেশিশক্তির ব্যবহার বেড়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের সামনে রয়েছে। আমার বিশ্বাস, অংশীজনের সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা একটি সুন্দর, সুষ্ঠু সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের দ্বার উন্মুক্ত করতে পারব। জনগণের ভোট জনগণকে ফিরিয়ে দিতে পারব। মধ্য রাতের ভোট, দিনের ভোট রাতের বেলা, পেশির ব্যবহার, টাকার খেলা, ব্যবসায়ীতন্ত্র সব বন্ধ করে রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতে থাকবে।

ভোরের কাগজ : ভোরের কাগজকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ড. বদিউল আলম মজুমদার : ধন্যবাদ আপনাকে। ধন্যবাদ ভোরের কাগজকে এবং ভোরের কাগজের সব পাঠককে।

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App