বুয়েটের প্রতিনিধি দল
ভবন ঝুঁকিপূর্ণ উদ্ধার অভিযান সম্ভব নয়

নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসীতে গাজী টায়ার কারখানায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ছয় তলা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় উপরের অংশে উদ্ধার কাজ চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বুয়েটের প্রতিনিধি দল। তবে বেজমেন্টের কিছু অংশে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালাবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুড়ে যাওয়া গাজী টায়ার কারখানা পরিদর্শন শেষে বুয়েটের অধ্যাপক রাকিব আহসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে সকাল ৯টার দিকে বুয়েটের এক সদস্যের প্রতিনিধি দল গাজী টায়ারস কারখানা পরিদর্শনে আসেন।
এ সময় অধ্যাপক রাকিব আহসান নারায়ণগঞ্জ জেলার গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীবকে সঙ্গে নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের লেদার মেশিন দিয়ে ছাদের উপরে ও বিভিন্ন তালার অংশ ঘুরে দেখেন। তবে ভবনের উপরের অংশে উদ্ধার অভিযান না হলেও ভবনের বেজমেন্টে কিছু অংশে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালাবে।
এ সময় বুয়েটে প্রকৌশলী রাকিব আহসান বলেন, বুধবার রাতে জেলা প্রশাসক বুয়েটকে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি সকালে এসে কারখানাটির অংশ পরিদর্শন করেছি এবং ফায়ার সার্ভিসের লেদার দিয়ে উপরে উঠে ভবনের বিভিন্ন অংশ চেক করে দেখেছি। আমরা খালি চোখে কোনো লাশ দেখতে পাইনি। এছাড়া গতকাল ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ড্রোন দিয়ে করা কিছু ভিডিও ও ছবি দেখলাম। টানা প্রায় তিন দিন ধরে আগুন জ্বলেছে ভবনটিতে। এ কারণে ভবনটির অনেক অংশ ধসে পয়েছে। এটি ছয় তলা ভবনের চার তলা ও পাঁচ তলার ছাদ ভেঙে তিন তলার বেজমেন্ট এসে পড়েছে। ভবনের আগুন উপরের দিকে বেশি সময় ধরে জ্বলার কারণে উপরের দিকে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। ভবনটিতে প্রচুর পরিমাণ কেমিক্যাল ছিল। ভবনটির তৃতীয় তলার ও বিভিন্ন অংশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে ভবনটিতে উদ্ধারকাজ চালানো খুবই বিপজ্জনক। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ভবনটির নিচ তলার বেজমেন্টে উদ্ধার অভিযান চালাবে। ভবনটি ভেঙে ফেলা হলেও ভবনটি খুবই পরিকল্পনা মাফিক ভাঙতে হবে।
এ সময় বৃহত্তর ঢাকার ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা তদন্ত কমিটির সঙ্গে বসেছিলাম। আমরা ড্রোন ও লেদার দিয়ে ভবনের বিভিন্ন অংশ চেক করেছি খালি চোখে যতটুকু দেখা যায়। আমরা কোনো ভিকটিম দেখতে পাইনি। ভবনের বিভিন্ন কলামের রড বের হয়ে গেছে ও ফুলে গেছে। চার ও পাঁচ তলার উপর পড়েছে। এ ভবনে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব না। তবে আমরা ভবনের নিচে বেজমেন্টে রেসকিউ অপারেশন আজকে (গতকাল বৃহস্পতিবার) চালিয়েছি। তবে কোনো লাশ দেখতে পাইনি।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত স্বজনদের দাবি অনুযায়ী ১৭৬ জন নিখোঁজ এর তালিকা পাওয়া গেছে। পরে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সমন্বয়ে তালিকা হলে সেখানে নিখোঁজের সংখ্যা ১২৯ জন।