দেখা হলেই নানা বিষয় নিয়ে আমাদের কথা হতো

মেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মাসুদ আলী খান
বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খানের মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন অভিনেতা মামুনুর রশীদ ও দিলারা জামান
মাসুদ ভাইয়ের সঙ্গে অনেক নাটকে অভিনয় করেছি। আমার পরিচালনাতেও তিনি কাজ করেছেন। মানিকগঞ্জে তার বাড়িতেও শুটিং করেছি। উনাদের গ্রামের নাম পারিল। শুটিং করার সময় কত স্মৃতি আছে উনার সঙ্গে। পাকিস্তান আমল থেকে তিনি ড্রামা সার্কেলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমরা যখন বাংলাদেশে নব নাট্যচর্চা শুরু করি, সে সময় আমাদের জন্য বিশাল অনুপ্রেরণা ছিলেন মাসুদ আলী খান। তার কাছে অনেক কিছু জানার চেষ্টা করতাম, শেখার চেষ্টা করতাম। তিনি আগ্রহ নিয়ে তার অভিজ্ঞতা আমাদের জানাতেন। তিনি থিয়েটার চর্চার পাশাপাশি মিডিয়াতেও কাজ করতে চাইতেন সব সময়। সেটা তিনি সফলভাবেই করেছেন। এককথায় যদি বলি তিনি আমাদের ইতিহাস। সবশেষ গত বছর আলী যাকের নতুনের উৎসবে তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। দেখা হলেই নানা বিষয় নিয়ে আমাদের কথা হতো। খুব ভালো মানুষ, খুব সুন্দরভাবে ইতিহাস বলতেন আমাদের।
ব্যক্তি হিসেবেও তিনি খুব ভালো মানুষ
দিলারা জামান, অভিনেত্রী
আমাদের পরম শ্রদ্ধার একজন মানুষ মাসুদ ভাই। তিনি আমাদের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে সিনিয়র ছিলেন। দেশের প্রথম নাটকের দল ড্রামা সার্কেলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সিনেমাতেও অভিনয় করতেন। তিনি ছিলেন অনুকরণীয়। তার সঙ্গে আমার অনেক কাজ হয়েছে। বেশির ভাগ সময় তিনি আমার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কত স্মৃতি আমাদের।
ব্যক্তি হিসেবেও তিনি এবং তার স্ত্রী খুব ভালো মানুষ। তাদের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। মাসুদ ভাইয়ের শ্বশুরবাড়িতেও গিয়েছিলাম বেড়াতে। মাসুদ ভাই আমার স্বামীকে ভাই বলতেন, তাই আমাকে ভাবি বলে ডাকতেন। আমি যে কতবার তাকে বলেছি, আমি আপনার কত ছোট, আমাকে কেন ভাবি ডাকেন। তিনি প্রায়ই আমার কাছে খাওয়ার আবদার করতেন। খুব মনে পড়ছে সেসব কথা। সেদিন সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর সংবাদটি শুনে থমকে যাই। এক এক করে আমাদের সব সাথিরা চলে যাচ্ছেন। ভাবতেই কষ্ট লাগছে।