জি বাংলার ‘রান্নাঘর’ সঞ্চালনায় কনীনিকা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়
এবার নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন শো, নতুন করে ছোটপর্দায় ফিরছেন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। জি বাংলার নতুন শো ‘রান্নাঘর’-এ দেখা যাবে তাকে। শিগগিরই শুরু হচ্ছে শুটিং। এমন একটা সময়ে এই কাজের অফার তার কাছে এসেছিল যে সময়ে তিনি নিজেই খুঁজে বেড়াচ্ছেন মায়ের হাতের রান্না, মায়ের হাতের স্বাদ। বাড়িতে মা অসুস্থ, সাত মাস; তাই সেই মায়ের হাত স্বাদ ভুলতেই বসেছিলেন তিনি। নিজেও অবশ্য যথেষ্ট ভালো রান্না করেন এই অভিনেত্রী। বেশ কয়েকটা বছর ছোটপর্দা থেকে দূরে, কেন ‘রান্নাঘর’-এর সঞ্চালনা করতে রাজি হয়েছিলেন কনীনিকা?
অভিনেত্রী বলেন, “আমাদের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ছোটপর্দা ছাড়া রোজগারের সুযোগ খুব কম। যে পরিধির কাজ আমরা পাই, সেটা নিয়ে টিকে থাকা যায় না। সবাই কিছু না কিছু অন্য করছে। আমার মা গত ৬ মাস হাসপাতালে ভর্তি, বাড়িতে ছোট্ট মেয়ে, এই মুহূর্তে আমার হাতে মেগা সিরিয়ালের কাজ নেয়া সম্ভব নয়। জি বাংলা আমার কাছে পরিবারের মতো। যখন এই অফারটা এলো, মনে হয়েছিল মেগার মতো সময় দিতে হবে না। কিন্তু মেয়েকে সামলে কাজটা করতে পারব। আসলে এই টিমটা আমার ভীষণ প্রিয়। এই টিমের সঙ্গেই তো ‘প্রজাপতি’, ‘প্রধান’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছি। ‘রান্নাঘর’ তাই আমার কাছে অনেকটা ঘরে ফেরার মতোই।”
‘রান্নাঘর’ মানেই তো স্বাদের সম্ভার। কনীনিকার হাতের কোন রান্না বাড়িতে সবার পছন্দ? অভিনেত্রী বলেন, আসলে আমরা যারা রোজ রান্না করি, তাদের আর বিশেষ করে কোনো একটা ডিশ স্পেশাল হয় না। মনে করে দেখুন, আমরা মায়েদের তো প্রতিদিন বলি না যে রান্নাটা ভালো হয়েছে। মায়েরা কোনো কিছুর প্রত্যাশা না করেই এই কাজটা করে যান দিনের পর দিন। সাত মাস ধরে যখন আমার মা অসুস্থ, আমি বুঝতে পারছি আমি সাত মাস ভাত খাইনি। কারণ আমায় সেই পছন্দের খাবারটা সাজিয়ে খেতে দেয়ার মতো এই মুহূর্তে আর কেউ নেই। এই বছর আমাদের বাড়িতে তালের বড়া হয়নি। পিঠে-পুলিটা খুব কষ্ট করে মা করেছিলেন। আমি রোজই একটু একটু করে চেষ্টা করি মায়ের মতো রান্না করার। মায়ের হাতের রান্না সেই মাছের ঝোলটা আজো যেন সবচেয়ে সুস্বাদু। তবে নিজে শত চেষ্টা করলেও মায়ের ধারেকাছে পৌঁছতে পারে না। কিন্তু যদি বলেন, আমার মেয়ে কী পছন্দ করে, তাহলে বলব মাংসের ঝোল। আর পাস্তা-নুডলস।
‘রান্নাঘর’-এর সঞ্চালনা দীর্ঘ সময় ধরে করে এসেছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। সেই আসনে এবার বসবেন কনীনিকা। নতুন মুখ মানেই কি নতুন চ্যালেঞ্জ? কনীনিকা বলেন, ‘জীবনের এমন একটা সময়ে পৌঁছে গিয়েছি, যখন আর এগুলো নিয়ে ভাবি না। যে কাজই করব, ভালোবেসে করব। সুদীপার জায়গায় আমি নতুন মুখ... এই মুহূর্তে এই ভাবনা মাথাতেই আসছে না। তার চেয়ে অনেক বেশি ভাবাচ্ছে, শো-টা কীভাবে সাকসেসফুল হবে। ১৪ বছর আগে যেভাবে রান্নাঘর চলেছিল... এখন যুগ বদলেছে। মানুষ এখন রান্না দেখেন শর্টসে । ১ মিনিটে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আধা ঘণ্টার একটা কুকিং শোকে দাঁড় করানো যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। সেটাই আমায় অনেক বেশি ভাবাচ্ছে। তবে যেটাই করব, নিজের সেরাটা দেব। অনেক ছোট বয়স থেকেই সঞ্চালনা করছি। আশা করি মানুষকে নতুন স্বাদ দিতে পারব রান্নাঘরে।