সংসার ভাঙল অনিন্দ্যর

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ও মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়
চলতি বছরেই টালিপাড়ায় একের পর এক বিচ্ছেদের খবর মিলেছে। এবার এলো চন্দ্রবিন্দুর গায়ক তথা চিত্র পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ও তার স্ত্রী মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর। গত রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর জানিয়েছেন অনিন্দ্যপতœী মধুজা। তবে বৈবাহিক সম্পর্কে ভাঙন ধরলেও তাদের মধ্যে যে বন্ধুত্ব বজায় থাকবে, নিজের পোস্টে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
মধুজা লিখেছেন, ‘অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর জন্য একটা ছোটদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে-বাইরে সমান তালে দীর্ঘ ১৪ বছর লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি। তাই নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯ সালে জুজুকে নিয়ে মুম্বাই চলে এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এলো। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল। কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা, লেখালেখি।
ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। এক সময় বুঝতে পারলাম বিয়ে মানে ফুল, আলো, যদিদং হৃদয়ং- কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য। তবে বিচ্ছেদের পরও প্রাক্তন অনিন্দ্যর সঙ্গে বন্ধুত্ব বজার রাখার কথা বলে মধুজা লিখেছেন, জানি অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। আমিও পেয়েছি। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভরও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। আর কী আশ্চর্য প্রায় ভাঙার বেলায় ‘আজ রোববার’র-পাতায় ওর লেখা আর আমার আঁকা বের হলো। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা-মায়ের হয়নি।
দাম্পত্যের হয়েছে- বন্ধুত্বের হয়তো না। তাই এক শিল্পী আজ অন্য শিল্পীকে জায়গা দিয়েছেন- আমি সম্মানিত! গানের লাইন ধরে মধুজা লেখেন, আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা! মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে/ ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে/উধাও মনের আহা/উধাও মনের পাখা মেলবি আয়। এদিকে অনিন্দ্য-মধুজার এই বিচ্ছেদের অনুরাগীদের মনেও জুড়েছে বিষাদের সুর।