জাগো বাংলাদেশ জাগো: সংস্কার ও প্রতিরোধের মশাল
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম

জাগো বাংলাদেশ জাগো: সংস্কার ও প্রতিরোধের মশাল
‘জাগো বাংলাদেশ, জাগো’ এটা শুধু একটি স্লোগান নয়; এটি একটি প্রতিজ্ঞা, একটি দৃঢ় সংকল্প—ন্যায়বিচারের জন্য, সমতার জন্য এবং একটি উন্নত সমাজের জন্য। এই স্লোগানটির মধ্যে নিহিত রয়েছে প্রত্যেকের মধ্যে অদৃশ্য শক্তির উদযাপন। আমার এই লিখাটি শুধুমাত্র একটি হতাশার গল্প নয়, বরং একটি জাগরণের আহ্বান। এটি একটি দেশপ্রেমের শপথ, যা প্রত্যেক নাগরিককে একত্রিত হওয়ার জন্য উৎসাহিত করবে বলে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
আমাদের সবার দৃষ্টি যদি একত্রিত হয়, তাহলে আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকা সকল অন্যায়, শোষণ, এবং বৈষম্যের অবসান ঘটাতে পারব। আমাদের এখনই সময়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার, প্রতিবাদ করার এবং পরিবর্তন আনতে একসঙ্গে কাজ করার। যদি আমরা সবাই একসাথে আমাদের অধিকারের জন্য আওয়াজ তুলি, তবে দুনিয়ার কোন শক্তি আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না।
আমাদের উচিত এমন একটি দেশ গড়া, যেখানে শোষণ, বৈষম্য এবং অন্যায়ের কোন স্থান নেই। এই দেশ গড়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের, কারণ এই সমাজ, এই রাষ্ট্র কেবল আমাদের জন্যই নয়, আগামী প্রজন্মের জন্যও। আমরা চাই না, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের ভুলে ভরা ইতিহাস বহন করুক। সত্যের জয় হবেই—এটি আমাদের বিশ্বাস এবং এটি আমাদের লক্ষ্য হোক।
আমরা বলছি সংস্কারের কথা কিন্তু এ সম্পর্কে আমাদের ধারণা, প্রেক্ষাপট, এবং বাস্তবতার জায়গাটি কোথায়?
সংস্কার এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান বা সমাজ নিজেদের কাঠামো, নীতি, এবং পদ্ধতিগুলোকে নতুন, কার্যকরী এবং সময়োপযোগী করতে পুনর্গঠন করে। সংস্কারের মূল লক্ষ্য হল সমাজের অদক্ষতা, অন্যায় এবং বৈষম্য দূর করা এবং একটি সুশাসিত, ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গঠন করা। সমাজে যদি সঠিক সংস্কার না হয়, তবে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সংস্কার মূলত সময়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে, এবং এর লক্ষ্য সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য ন্যায্যতা ও সমতা নিশ্চিত করা।
সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সমাজের সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে অপরিহার্য। এটি সমাজে সঠিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং অবহেলিত জনগণের অবস্থা উন্নত করার মাধ্যমে সমাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। একটি দক্ষ এবং সুষ্ঠু প্রশাসন শুধুমাত্র জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করে না, বরং তা সমাজের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতাও নিরসন করে।
সংস্কার কার্যকর হতে হলে এটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হতে হবে। শুধু নীতিমালা প্রণয়ন করলেই সংস্কার সফল হবে না; তার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির সম্মিলিত উদ্যোগ এবং একটানা প্রচেষ্টা প্রয়োজন। যখন জনগণ সম্মিলিতভাবে সঠিক দিকনির্দেশনা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে চলে, তখনই সংস্কার সফল হতে পারে।
সংস্কারের লক্ষ্য সর্বদা জনগণের কল্যাণ, বিশেষত যারা অবহেলিত, বঞ্চিত এবং পিছিয়ে রয়েছে, তাদের জন্য। রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্বই হলো নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা। দুর্ভাগ্যবশত, অনেক ক্ষেত্রে এই দায়বদ্ধতা শুধুমাত্র কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, বাস্তবে বাস্তবায়ন হয় না। রাষ্ট্র যদি জনগণের কল্যাণের দিকে না এগিয়ে যায়, তবে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি অনুভূত হয়।
সংস্কারের ক্ষেত্র শুধুমাত্র প্রশাসনিক বা অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা, আইন ও বিচার ব্যবস্থা, পরিবেশ সংরক্ষণ, এবং সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তনেও জরুরি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংস্কারের লক্ষ্য একটি মানবিক, ন্যায়ভিত্তিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন করা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও, দেশের অধিকাংশ জনগণ এখনও মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত। তারা এখনও অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। তবে ক্ষমতার শীর্ষে থাকা মানুষের বিলাসী জীবনযাপন প্রমাণ করে, সমাজে এক বিরাট বৈষম্য বিদ্যমান। সাধারণ মানুষ প্রতিদিন বাঁচার জন্য লড়াই করে চলেছে, অথচ ক্ষমতাধারীরা শুধু নিজেদের স্বার্থে এগিয়ে যাচ্ছে।
এ অবস্থায় প্রশ্ন ওঠে—সংস্কার কেন হচ্ছে না? কেন দেশের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে আছে? এর উত্তর সহজ, কিন্তু তিক্ত—যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা সংস্কার করতে চান না, কারণ এটি তাদের সুবিধাভোগী অবস্থানে আঘাত হানে। দেশ সংস্কারের কথা বললেও বাস্তবে তার প্রয়োগ নেই।
আমি চল্লিশ বছর ধরে ইউরোপে বসবাস করছি। এখানের সমাজের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সব স্তরের মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা থেকে শুরু করে কাজকর্ম, আড্ডা—যা-ই বলি না কেন—সব কিছুর সঙ্গে শতভাগ জড়িত। আমি নিজে ‘বেড টু ব্রেকফাস্ট’-এর সকল কর্মের একজন দক্ষ কর্মী। সেই সুবাদে অনেক বাস্তবসম্মত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে আমার প্রতিবেদনটি লিখছি। আশা করি, মনের বা চরিত্রের পরিবর্তন না করতে পারলেও বিবেকে কিছু সময়ের জন্য হলেও নাড়া দেবে, যদি সামান্য পরিমাণ বিবেক আমাদের মধ্যে থেকে থাকে।
একটি গণতন্ত্রের দেশে আমার বসবাস, বাংলাদেশের প্রশাসনের (যদি এ, বি, সি—এই তিন গ্রুপে ভাগ করি, যেখানে “এ” সর্বোচ্চ, “সি” সর্বনিম্ন) সি গ্রুপের কর্মীরা যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, তা প্রশাসনের উচ্চতর কর্মকর্তা, যেমন সচিব, ডিজি বা মন্ত্রী—এই লেভেলের কর্মকর্তারাও ইউরোপে পান না। অথচ বাংলাদেশে, যেখানে সাধারণ মানুষের এখনও অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের মৌলিক নিশ্চয়তা রাষ্ট্র দিতে পারেনি, অথচ সেখানেই এই বৈষম্য বিদ্যমান। ভেবেছিলাম, তেমন কিছু হবে যদি রাষ্ট্র সংস্কার করতে চায়। কিন্তু সেটা হয়নি। হয়েছে বরাবরের মতো, যেটা হওয়ার, সেটাই। আমি মাঝখানে হয়েছি হতাশ!
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পেটে ভাত নেই, সেখানে প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মীদের পাজোয়ার গাড়ি, বাড়ি, দারোয়ান, ড্রাইভারসহ শত শত সুযোগ-সুবিধা। এমন বৈষম্য কি বিশ্বের অন্য কোনো সৃজনশীল গণতান্ত্রিক এবং ধনী দেশে আছে? কীভাবে এর সংস্কার হবে? কেউ কি কখনো মনে মনে সংস্কারের কথা ভাবে? না, এটাই আমার হতাশার কারণ! তাহলে কি বাংলাদেশ নামের দেশটির সৃষ্টিই হয়েছে দুটো জাতির জন্য? একটি শাসক ও শোষণকারী, অন্যটি শাসিত, নিপীড়িত এবং নির্যাতিত?
অন্যায় কখনোই শুধু যারা করে তাদের দ্বারাই সীমাবদ্ধ থাকে না; অন্যায় টিকে থাকে তখনই, যখন তা সহ্য করা হয়। বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়, বৈষম্য, এবং শোষণের যাঁতাকলে পড়ে আছে। তাদের অধিকাংশই প্রতিবাদ করতে ভয় পায়, বা প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। এর ফলশ্রুতিতে, শাসকগোষ্ঠী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে, এবং সমাজে দুর্নীতি ও বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমার হতাশার মূলে রয়েছে এই বিষয়টি। আমি বিশ্বাস করি, যদি জনগণ প্রতিবাদ না করে, যদি তারা নীরব থাকে, তাহলে তাদের ভাগ্য কখনোই বদলাবে না। প্রতিবাদ না করার মাধ্যমে, আমরা অন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে পড়ি। আমি আপনাদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি: কথা বলুন, প্রতিবাদ করুন। যদি আমরা কথা না বলি, তবে সমাজের শোষণ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
এ পরিস্থিতিতে জনগণের ঐক্য অপরিহার্য। যদি জনগণ একত্রিত হয়ে আওয়াজ তোলে, তবে শাসকগোষ্ঠীর মুখে লজ্জার ঝাটা পড়তে শুরু হবে। সত্যের কাছে অন্যায় একদিন পরাজিত হবেই। ইতিহাস সাক্ষী, যেকোনো আন্দোলনে জনগণের একতা শোষকগোষ্ঠীকে পরাজিত করেছে। যখন জনগণ সম্মিলিতভাবে এক হয়ে প্রতিবাদ জানায়, তখন শোষকদের স্বার্থে দাঁড়ানো সকল ব্যবস্থাই অচল হয়ে পড়ে।
আজও, বাংলাদেশের জনগণের ঐক্য সত্যের জয় এনে দিতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে, আমি অত্যন্ত হতাশ। ৫৩ বছর পরও জনগণ তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য সংগ্রাম করছে! অথচ দেশটির শাসক শ্রেণির জন্য বিলাসী জীবনযাপন আর সুযোগ-সুবিধার কোনো কমতি নেই। সংস্কার নেই, বাস্তবায়ন নেই—এই বৈষম্য চলতে থাকলে, সমাজের উন্নয়ন ঘটবে না।
সেক্ষেত্রে প্রতিবাদ, একটি সময়ের দাবি।
বাংলাদেশে সংস্কারের অনুপস্থিতির পেছনে প্রধান কারণ হলো ক্ষমতাসীনদের সুবিধাবাদী মনোভাব। তারা সংস্কারের কথা বললেও বাস্তবে তা কখনোই প্রয়োগ করে না, কারণ সংস্কার তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতার অভাব এবং প্রতিবাদের অভাবও সংস্কারের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যখন জনগণ তাদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হবে এবং প্রতিবাদে সোচ্চার হবে, তখন এই পরিস্থিতি বদলাবে।
ইউরোপে, যেখানে প্রশাসনিক কাঠামো জনগণের কল্যাণে কাজ করে, সেখানে বাংলাদেশে তা শাসক শ্রেণির স্বার্থে কাজ করছে। সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য এখানে কেউ কাজ করে না, তবে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা নিজেদের বিলাসিতায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
বাংলাদেশের সরকার এবং প্রশাসন যদি শুধু নিজেদের স্বার্থেই কাজ করে, তবে কোনো পরিবর্তন আসবে না। জনগণ যদি তাদের মৌলিক অধিকার নিয়ে সোচ্চার না হয়, তবে যে বৈষম্য এবং শোষণ চলছে তা চলতেই থাকবে।
অন্যায়কারি, সে যত শক্তিশালীই হোক না কেন, জনগণের একত্রিত প্রতিবাদ তাকে পরাজিত করতে পারে। প্রতিবাদ ছাড়া পরিবর্তন সম্ভব নয়, কারণ আন্দোলন এবং প্রতিবাদ ছাড়া সমাজের অন্ধকার যুগ থেকে আলোর দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ইতিহাস দেখিয়েছে, যেকোনো আন্দোলনে জনগণের একতা শোষকগোষ্ঠীকে পরাজিত করেছে। জনগণ যখন এক হয়ে প্রতিবাদ জানায়, তখন কোন শক্তি তাদের থামাতে পারে না। বাংলাদেশে এই প্রতিবাদ গড়ে ওঠার জন্য আজ প্রয়োজন একটি ঐক্যবদ্ধ চেতনা, যাতে জনগণ জানে তাদের শক্তি এবং অধিকার।
এটা এক ধরনের আত্মবিশ্বাস এবং সাহসের কথা, যেখানে সাধারণ মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার দাবি করতে সচেষ্ট হয়। তারা যেন মনে না যে তাদের প্রতিবাদ ক্ষুদ্র, বরং তারা যেন জানে যে সম্মিলিতভাবে তারা অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে। এই ঐক্য যদি বাস্তবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে শাসকগোষ্ঠী অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকার সাহস পাবে না। তাই প্রতিবাদ করুন, কথা বলুন—এটাই একমাত্র পথ।
যতটা আশা ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির, তা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা বিলাসী জীবনযাপন করলেও, সাধারণ জনগণের মৌলিক চাহিদা পর্যন্ত পূর্ণ হয়নি। সংস্কারের অভাব, প্রশাসনের অদক্ষতা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব আমাদের হতাশ করেছে। এই বৈষম্য সমগ্র সমাজের জন্য অশুভ বার্তা বয়ে আনে।
আমার লেখা শুধু হতাশার বার্তা নয়, এটি একটি প্রতিবাদ এবং জাগরণের মশাল। এটি একটি প্রতিবাদ এবং জাগরণের আহ্বান। বাংলাদেশে যদি আমরা একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করি, সচেতন হই, এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি, তবে একদিন আমরা শোষণের বিরুদ্ধে সত্যের জয় হাসিল করতে পারব। অন্যায় যত শক্তিশালী হোক, জনগণের ঐক্য তাকে পরাজিত করবে। শুধু প্রতিবাদ করতে হবে, সত্যকে উন্মুক্ত করতে হবে, এবং একদিন সমাজে পরিবর্তন আসবে। আমরা যদি একত্রিত হয়ে, সচেতন হয়ে, প্রতিবাদ করতে শিখি, তাহলে একদিন আমরা এই শোষণচক্র ভেঙে ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজ গঠন করতে সক্ষম হব। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা, যেখানে অনেকেই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, সেখানে এই প্রতিবাদ এবং সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি অনুভূত হয়। আমরা যদি নিজেরাই কিছু না করি, তবে পরিবর্তন আসবে না। কিন্তু যদি একসাথে সবাই আমাদের আওয়াজ তুলি, এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করি, তবে পরিবর্তন আসবে, এবং দুর্নীতি একদিন পরাজিত হবে।
আমাদের নীরবতা অন্যায়কে শক্তিশালী করবে, কিন্তু প্রতিবাদ সত্যের জয় আনবে। তাই, জাগো বাংলাদেশ, জাগো। আমরা যদি একসাথে জাগ্রত হই, তবে শোষণের অন্ধকার থেকে মুক্তি পেয়ে একটি সুন্দর, সুশাসিত, এবং ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে পারব।
রহমান মৃধা, গবেষক ও লেখক, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন, rahman.mridha@gmail.com