নিউমোনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২০, ০৮:২৯ পিএম

গতকাল ছিল বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১২ নভেম্বর বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস পালন হয়ে আসছে। নিউমোনিয়া রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর এই দিবস পালন করা হয়। পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের হওয়া মারাত্মক রোগগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
নিউমোনিয়া ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগ। বিভিন্নভাবে নিউমোনিয়া ছড়াতে পারে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকের সংক্রমণ এবং হাঁচি-কাশির ফোঁটার মাধ্যমে বেশিরভাগ সময় নিউমোনিয়া ছড়ায়। নিউমোনিয়া সহজে প্রতিরোধ করা যায় ও চিকিৎসার মাধ্যমে সহজেই নিরাময় করা যায়, তবুও প্রতি ২০ সেকেন্ডে একটি শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
২ থেকে ১২ মাস বয়সি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু মিনিটে ৫০ বার বা তার চেয়ে বেশি শ্বাস নেয় এবং এক বছরের বড় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু মিনিটে ৪০ বার বা তার চেয়ে বেশিবার শ্বাস নেয়। কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর হলো নিউমোনিয়ার লক্ষণ। শিশুদের বক্ষ প্রাচীর ভেতরে ঢুকে যায়, অসুস্থ শিশুদের খেতে অসুবিধা হয়। ৬ মাস যথেষ্ট পরিমাণ মায়ের দুধ পান করানো, পরিপূরক বা সুষম খাবার খাওয়ানো, নিরাপদ পানি খাওয়ানো, বেশি আলো-বাতাস পূর্ণ ঘরে থাকা, ঠাণ্ডা না লাগানো, শীতকালে গরম খাবার খাওয়া উচিত।
শীতকালে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। তাই একেবারেই ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না। শিশুদের সবসময় গরম পোশাক পরিয়ে রাখতে হবে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর কারণ দেরি করে চিকিৎসা শুরু করা। তাই নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
এছাড়া নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন আছে। এই রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শীতকাল একেবারে নিকটে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে। শীতকালে ফ্লু, নিউমোনিয়ার পাশাপাশি এবার করোনাকেও মোকাবিলা করতে হবে। তাই অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশি সচেতন থাকতে হবে, সাবধানে থাকতে হবে। শিশু অসুস্থ হলে কোনো ঝুঁকি নেয়া যাবে না, সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবসে একটাই চাওয়া- নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে কোনো শিশু যেন মারা না যায়।
শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। sukantodas5555@gmail.com