×

মুক্তচিন্তা

চাকরিতে আবেদন ও অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি

Icon

আসমা জাহান খুশি

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম

চাকরিতে আবেদন ও অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি

আসমা জাহান খুশি

   

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে আমি আমার ভাবনা তুলে ধরেছি। অনেক বড় পোস্ট। আমি প্রত্যেককে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি এই লেখাটি ধৈর্য্য সহকারে পড়ার।

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতায় যে কোনো চাকরিতে প্রবেশের বয়স উন্মুক্ত থাকা উচিত বলে মনে করি। সার্টিফিকেট, ব্যক্তিগত দক্ষতা বলে যদি কেউ ৪০ বছর বয়সে গিয়ে চাকরি নিতে পারে, তো নেবে। সে ৪০ বছরে চাকরিতে ঢুকবে কী ঢুকবে না, এই দায় তার। কিন্তু রাষ্ট্রের সেই সুযোগ উন্মুক্ত রাখতে হবে। কারণ রাষ্ট্রের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে রাষ্ট্রের নাগরিকরাই।

পৃথিবীর বহু রাষ্ট্রে বেকারদের ভাতা দেয়া হয়। বাংলাদেশের নাগরিকরা কেউ বেকারভাতা চায় নাই, তারা চায় শ্রম ও সেবার বিনিময়ে মজুরি লাভ করে জীবিকা নির্বাহ করতে চায়। নাগরিক হিসেবে এটি তার অধিকার। অধিকারকে কখনো সময় রেখায় বেধে দেয়া যায় না। পরীক্ষায় বসতে চাওয়ার অধিকার অতি ক্ষুদ্র একটা চাওয়া। এটা আহামরি বড় কোনো চাওয়া নয়। রাষ্ট্রের কাজ হচ্ছে সব নাগরিকের জন্যে কর্মের সুযোগ প্রদান করা। রাষ্ট্র তাতো পারছেই না, বরং জীবিকার জন্যে পরীক্ষায় বসার অধিকার থেকেও নাগরিককে বঞ্চিত করে আসতেছে বছরের পর বছর।

পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ৩৫, ৪০, ৪৫ বছর। আমাদের আর পাকিস্তানের ৩০। অন্যান্য দেশের তুলনায় বেকারত্ব এই দুই দেশে বেশি নাকি কম? 

বয়স উন্মুক্ত থাকলে বরং বেকারত্ব কমবে। বয়সের সীমারেখা না থাকলে শুরুতেই যে কোনো চাকরিতে ঢুকে যাবে ক্যান্ডিডেটরা। কেউ কেউ উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করে দেখবে সব ঠিকঠাক ক্লিক করে কিনা। বয়স ৩০ থাকায় পড়াশোনা শেষ করতে করতে হাতে দু তিন চার বছর থাকায় কেউ আর চাকরি ছাড়া অন্য কোনো ভাবে নিজেকে যাচাই করতে যেতে সাহস করে না।

তবে এখনো ৩০ বছর অব্দিই কেউ বসে থাকে না। বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে দু একবার এক্সাম দিয়েই যে চাকরি পায় তাতেই ঢুকে যায় পাছে এই চাকরিটাও যদি হাতছাড়া হয়। তারপর কাঙ্ক্ষিত চাকরি হলে তো হলোই, না হলে না হলো। চাকরি তো অলরেডি আছেই। বিসিএসে পদায়ন হলে খেয়াল করে দেখবেন বেশিরভাগ চাকরিতে পোস্ট শূন্য হয়ে যায় কারণ সেখান থেকে অনেকেই ক্যাডার হয়ে চলে যায়। আই রিপিট বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে কোনো না কোনো চাকরি নিয়ে নেয়। খুব অল্প সংখক ছেলেমেয়ে কোথাও জয়েন না করে পড়াশোনা চালাতে থাকে। হতে পারে তাদের অনেকেরই জেনারেশনাল ওয়েলথ আছে যে কারণে তারা পারে। তাদের আপাতদৃষ্টিতে বেকার মনে হলেও গিয়ে দেখেন তারা চাকরিজীবীদের চেয়ে বেটার লাইফ লিড করে। কারণ তাদের পারিবারিক বিভিন্ন আয়ের উৎস আছে।

চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ৩০ হওয়াতে আমাদের দেশের মেয়েরা সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয়। একেবারেই অতি উচ্চশিক্ষিত পরিবারের নারীরা ছাড়া বেশিরভাগ মেয়েদেরই পড়াশোনা শেষ করা মাত্র, অনেকের পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে বিয়ে হয়, সংসারের দায়িত্ব কাধে নিতে হয়, মা হতে হয়। একজন মা সাংসারিক কাজ সামলে তার বাচ্চার তিন-বছর না হওয়া অব্দি বইপত্র ধরার সুযোগ পায় না। বিয়ে-বাচ্চা হতে হতেই তার বয়স ত্রিশ পার। অমনি তার এত বছরের অর্জিত জ্ঞান, সার্টিফিকেটও মূল্যহীন! কেমন অযৌক্তিক আর অমানবিক আচরণ রাষ্ট্র তার সঙ্গে করে আসছে! 

দেশের সবচেয়ে হাইপওয়ালা জবের গেজেট প্রকাশিত হলে খুঁজে দেখছেন কখনো সেখানে পুরুষের তুলনায় নারীর অনুপাত কতজন? কতজন নারী ভাইভা ফেস করতে পারে? এসএসসি এইচএসসিতে যেখানে মেয়েরা সবসময় এগিয়ে থাকে, সেই নারীরা কেন কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে? কারণ খুঁজেছেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী শুরুতেই চাকরি পেয়ে যায়। এই সংখ্যাটাও একেবারে কম। যারা চাকরির পরীক্ষায় বসে, ভাইভা দেয় তারা জানে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা সফল নারীরা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রিভিলেইজড ক্লাসের। তাতেই তাদের মধ্যে থেকে চাকরি পাওয়া মেয়েদের সংখ্যা কম। বিসিএসের ফল প্রকাশিত হলে শোনা যায় এফআর হল থেকে পঞ্চাশ জন ক্যাডার, অমুক হল থেকে ত্রিশজন। কখনোই শোনা যায় না রোকেয়া হল থেকে বিশজন ক্যাডার। প্রিভিলেইজড ক্লাসের নারীদেরই যখন এই অবস্থা, যদিও দেশের নারী সমাজের ১% কেও রিপ্রেজেন্ট করেনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা, তাহলে বাকিদের কথা চিন্তা করে দেখুন।

অনেক দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা আছে যাদের বিয়ে হয়ে যায় নবম-দশম শ্রেণীতে বসে। কিন্তু তাদের অদম্য ইচ্ছে শক্তিতে তারা পড়ালেখা শেষ করে বাচ্চা লালন-পালন করে একটা বয়সে গিয়ে কিছু করতে চায়। তারা একটা ষোল গ্রেডের জব পেলেও তাদের টানাপোড়েনের সংসারে হয়তো একটু স্বচ্ছলতা আসে। রাষ্ট্রের কোনো দায়িত্ব নেই সেই মায়েদের উপর?

সমস্যার সমাধান দেয়ার আগে দেশের সার্বিক চিত্র মাথায় রেখে সমাধান খুঁজতে হবে। শুধু নিজের অবস্থান থেকে সমাধান খুঁজলে সেটি কখনোই সার্বজনীন সমাধান হবে না। রোকেয়া হলের প্রিভিলেইজড মেয়েটি কী করে জানবে আদিবাদী মেয়েটিকে প্রতিদিন কী কী ফেস করতে হয় কিংবা গ্রামের ডিগ্রি কলেজ থেকে পাশ করা নারী কীভাবে সংসার জীবন চালাচ্ছে। কিংবা সূর্যসেন হলের ডিপার্টমেন্ট ফার্স্ট ছেলেটি কী জানে মফস্বলের কলেজ থেকে পাশ করা ছেলেটা পাশ করতে করতে ২৭/২৮ বছর পার করে চাকরির প্রস্তুতি নিতে নিতে ত্রিশ পার করে ফেলে। নীলফামারি দিনাজপুর থেকে পাশ করা ছেলেমেয়ে আর দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা ছেলেমেয়েদের জীবনবাস্তবতা এক নয়।

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমেই সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এজন্যেই কোটা ব্যবস্থারও সূচনা হয়েছিল। উল্লেখিত কারণে নারী কোটা, জেলা কোটার প্রয়োজনীয়তা এখনো আছে বলে মনে করি।

অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হবে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবেনা, এগুলো বাস্তবসম্মত কথা নয়। ব্যক্তিজীবনে যাদের স্ট্রাগল আছে, তারাই প্রস্তুতি নিতে পারে না। যে ছেলেটি আগেই একটা কোম্পানিতে তিন বছর ধরে চাকরিতে আছে বা যে মেয়েটি দুটো বাচ্চা লালনপালন করছে, তারা কি একজন ফ্রেশারের মতো প্রস্তুতি নিতে পারে? পারে না বলেই তার সময়ের দরকার হয়। আর ফ্রেশার যারা আছো, তোমাদের মধ্যে থেকেই সবার চাকরি প্রথম, দ্বিতীয় এ্যাটেম্পটে হবে না। হয় খুব কম সংখ্যকের। এই কম সংখ্যক নিয়েই তো সমাজ, রাষ্ট্র চলবে না।

তোমাদের অনেককেই পরিবারের হাল ধরতে কোথাও জয়েন করতে হবে। তখন তুমি নিজেই ঠিকঠাক এফোর্ট দিতে পারবা না। এই সত্য মেনে নাও এখনই। বিসিএসই তো তোমাদের লক্ষ্য? জেনারেল ক্যাডার কয়টা? ৪০০/৫০০ তো। এখন ৪০০ /৫০০ পোস্টে লাখ লাখ ক্যান্ডিডেট একত্রে টিকবে কী করে? ৪০০/৫০০ ছাড়া বাকিরা আবার বসবে। কেউ দুবার দিয়ে অন্য চাকরিতে থিতু হয়ে যাবে। বয়স যদি উন্মুক্ত থাকে তাতেও কেউ ৩৫/৪০ অব্দি কেউ বসে থাকবে না বেকার। এখনই থাকে না। কিন্তু সুযোগটা উন্মুক্ত রাখলে সব ক্লাসের নাগরিকরাই সুবিধাপ্রাপ্ত হবে।

বেকারের সংখ্যা যেটা আছে তা কোনোদিনই কমবে না। তাতে চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ৩০ থেকে কমিয়ে ২৫ করলেও। বেকার বাড়া কমার সঙ্গে চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমার লেনাদেনা নেই।দিনে দিনে ক্যান্ডিডেট বাড়তেছে কিন্তু পোস্ট সংখ্যা বাড়তেছে না। তো যত দক্ষই কেউ হোক না কেন, নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরে তো চাকরি পাবেনা। বেকারের সংখ্যা তো বাড়বেই। এর সঙ্গে বয়সের লেনাদেনা নেই। বরং প্রবেশে বয়স সীমা উন্মুক্ত থাকলে অনেকেই অনেক পেশা থেকে এসে সরকারি চাকরিতে জয়েন করলে সেখানে তার অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান কাজিয়ে লাগিয়ে ওই সেক্টরে ভূমিকা রাখতে পারবে। 

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

সার্ভিসের মেয়াদ ২৫ বছর হওয়ার আগে কেউ স্বেচ্ছায় অবসরে গেলে (শারীরিক অক্ষমতা বা মৃত্যু ব্যতীত) পেনশন সুবিধা পায় না, যার ফলে কেউ একবার চাকরিতে ঢুকলে চাইলেও সরকারি চাকরি ছাড়তে পারে না আর্থিক ক্ষতির কারণে। যার ফলে অনেক আনমোটিভেটেড লোক বছরের বছর ধরে অনিচ্ছা সত্ত্বেও চাকরি করে যেতে বাধ্য হন। এই নিয়মটা চেঞ্জ করা খুব জরুরি। যাতে ৫ বছরের পরে যে কেউ চাইলেই আনুপাতিক হারে আর্থিক সুবিধাসহ চাকরি ছেড়ে দিতে পারে। এতে একদিকে যেমন সরকারি চাকরিতে পদ খালি হয়ে নতুন নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে তেমন আনমোটিভেটেড বা অনিচ্ছুক লোকজনকে জোর করে ২৫ বছর ধরে সরকারি চাকরি করানোটাও বন্ধ হবে। যার ইচ্ছে হবে সে সরকারি থেকে বেসরকারিতে যাবে, যার ইচ্ছে সে বেসরকারি থেকে সরকারিতে যাবে। স্কিলবেসড হিউম্যান রিসোর্সের অপটিমাম রিটার্নের জন্যে জব সেক্টরের এই মবিলাইজেশনটা অতি জরুরি।

বেকারত্ব নিরসনে যদি সত্যিই কারো মাথাব্যথা থাকে তবে অনেক পদক্ষেপ নেয়ার আছে। আমার কাছে নিচের কয়েকটি কার্যকরী মনে হয়।

শিক্ষা ব্যবস্থাকে সংস্কার করতে হবে সর্বপ্রথম। শিক্ষা ব্যবস্থা ডিগ্রী অরিয়েন্টেড না রেখে জব অরিয়েন্টেড করতে হবে। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে উৎপাদন ও বাস্তবমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা দরকার।কারিগরি শিক্ষাকে জনপ্রিয় করে তোলা জরুরি। ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রশিক্ষণের ব্যাপ্তি ঘটানো যাতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে। বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ তরুন ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ লাখ ডলার রোজগার করছে। উদ্যোক্তা হওয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে সভা সেমিনারের আয়োজন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণ সহজ করা যেতে পারে। বন্ধ হওয়া শিল্পকারখানাগুলো পুনরায় চালু করতে হবে। চাকরি শেষে চুক্তিভিত্তিক কাজের সুযোগ বন্ধ করতে হবে।

★সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৬০ এর বেশি কোনোভাবেই করা যাবে না। এতে শূন্য পদ তৈরি হবে না সহজে। বর্তমানে ১৪ লাখ সরকারী চাকরিজীবী যদি ৬২ বছরে অবসর নেয়, তবে তিন বছরে রাষ্ট্রের ব্যয় হবে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা!!! 

বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্যে উৎসাহিত করা, রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদান করা। ভারত থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ ছেলেমেয়ে বিদেশগামী হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। আমাদের দেশ থেকে সব মিলায়ে  সংখ্যাটা দশ বিশ হাজার হবে, তাও বিগত তিন চার বছর ধরে।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাষ্ট্রের কোনো সচেতনতা আছে? 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাজার হাজার ছেলেমেয়েরা বের হচ্ছে, গুটি কয়েক শিক্ষার্থী ছাড়া বেশিরভাগই হতাশাগ্রস্ত বেকার। এই বেকারদের সংখ্যার সঙ্গে চাকরিতে প্রবেশের বয়সের কী সম্পর্ক?

বয়স বাড়ালে বেকারত্ব বাড়বে, এগুলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের যুক্তি ছিল। ফ্যাসিস্ট কখনো রাষ্ট্রের সব শ্রেণীর নাগরিকদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে ভাবেনা। নাগরিকের দায়িত্ব না নিয়ে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে চাওয়াই ফ্যাসিবাদের মূল বৈশিষ্ট্য। বিগত ষোল বছরে আওয়ামী লীগ আমাদেরকে এভাবেই পরোক্ষাভাবে ব্রেইন ওয়াশ করে গেছে, আপনি টেরও পান নি যে আপনাকে কত কুযুক্তি গেলানো হয়েছে। এ কারণেই চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা বাড়ানো শুনে আপনার এতদিনের জং ধরা চিন্তায় টুং করে উঠেছে, আরেহ! এতে তো বেকারত্ব বাড়বে, অসম প্রতিযোগীতা তৈরি হবে। এই চিন্তা আপনার ভেতর পুশ করে দিয়ে বোঝাতে চেয়েছে যে বয়স বাড়ালে আপনার ক্ষতি। এতে আপনার ক্ষতি হলে ফ্যাসিবাদ এই কাজটাই করে দিতো আপনার জন্যে। লং টার্মে আপনার জন্য এটা মঙ্গলজনক বলেই চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা বাড়ানো হয় নাই। আমাদের সব রকম ফ্যাসিবাদী যুক্তি থেকে বের হয়ে মুক্ত চিন্তা করা শিখতে হবে।

বেকারত্ব রোধের জন্যে কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে কোনো কথা বলবেন না কিন্তু আপনি মনে করতেছেন চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা কমিয়ে দিলেই বেকারত্ব কমে যাবে। এটি একেবারেই অপরিপক্ব, অন্তসারশূন্য চিন্তা।

লেখক: আসমা জাহান খুশি, অ্যাডভোকেট, ঢাকা বার এসোসিয়েশন (সাবেক শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App