এপ্রিলেই চাঁদের উদ্দেশ্যে চন্দ্রযান ২ উৎক্ষেপণ করবে ইসরো

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১২:০৫ পিএম

Image converted using ifftoany
সব ঠিকঠাক চললে আগামী এপ্রিলেই চাঁদের উদ্দেশ্যে চন্দ্রযান ২ উৎক্ষেপণ করবে ইসরো। মোট ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পে চাঁদের মাটিতে মানববিহীন যান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের। পৃথিবী থেকে চাঁদে পৌঁছতে যানটির সময় লাগবে প্রায় ১ মাস। আর খরচের নিরিখে ভারতের এই অভিযান বিশ্বের তাবড় মহাকাশসংস্থাকে হার তো মানিয়েছেই, সঙ্গে হারিয়ে দিয়েছে হলিউডকেও। মহাকাশ অভিযান নিয়ে হলিউডের ছবি 'ইন্টাস্টেলর'-এর ভগ্নাংশমাত্র খরচে আস্ত মানববিহীন যান চাঁদে পাঠানোর ব্যবস্থা করে ফেলেছে ভারত। ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ওই ছবিটি তৈরি হয়েছিল ১,০৬২ কোটি চারা ব্যয়ে।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেই হলিউড ছবির থেকে কম খরচে চাঁদে যান পাঠিয়ে নজির গড়েছিল ইসরো। ২০১৩ সালে ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে মঙ্গলের কক্ষে যান পাঠিয়েছিল ভারত। সেই বছরই মানুষের মহাকাশ অভিযান নিয়ে তৈরি হয়েছিল হলিউড ছবি 'গ্রাভিটি'। খরচ হয়েছিল ৬৪৪ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহেই ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চন্দ্রযান ২ অভিযানের যাবতীয় প্রস্তুতি সারা। এই মুহূর্তে চলছে বিভিন্ন যন্ত্রের শেষ মুহূর্তের পরীক্ষানিরীক্ষা। পৃথিবী ও চাঁদের আপেক্ষিক অবস্থান বিবেচনা করে এপ্রিলে চন্দ্রযান ২-কে শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করবে ইসরো। ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিভন জানিয়েছেন, 'জটিল প্রক্রিয়ার সরলীকরণের মাধ্যমে ও গুণমান রক্ষার সমস্ত চেষ্টা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, সব থেকে কম খরচে সর্বোচ্চ সক্ষমতা। আমরা অপচয়ের ওপর রাশ টেনে খরচ কমিয়েছি।'
পৃথিবী থেকে রওনা দেওয়ার পর প্রায় এক মাস ধরে পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে একাধিক কক্ষে চক্কর কাটবে চন্দ্রযান ২। ক্রমশ বাড়বে কক্ষের আকার। চন্দ্রযান ২-এ থাকবে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ ও একটি মানববিহীন যান। চাঁদের কক্ষে পৌঁছনোর পর কৃত্রিম উপগ্রহটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে যানটি। এর পর ধীরে ধীরে সেটি অবতরণ করবে চাঁদের বুকে। রকেটের ব্যবহারের মাধ্যমে পতেন বেগ কমিয়ে ধীরে ধীরে যানটিকে অবতরণ করানো হবে চাঁদের বুকে।
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ৬ চাকার এই যান ১৪ দিন সক্রিয় থাকবে চাঁদের বুকে। ১৫০ - ২০০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে গাড়িটি। নানা যন্ত্রের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠে একাধিক পরীক্ষা চালাবে এই যান। ছবি তুলে পাঠাবে পৃথিবীতে। পরিকল্পনা অনুসারে সন্ধ্যা থেকে ভোরের মধ্যে গোটা অবতরণ প্রক্রিয়া সারতে চায় ইসরো। কারণ, চাঁদ দিগন্তের আড়ালে চলে গেলে চন্দ্রায়ন ২-এর সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখতে পারবে না ইসরো। তাই এপ্রিলে কোনও কারণে চন্দ্রায়ন ২-এর উত্ক্ষেপণ না করা গেলে অপেক্ষা করতে হবে এপ্রিল পর্যন্ত।

