
প্রিন্ট: ০৩ মে ২০২৫, ০১:৪১ এএম
আরো পড়ুন
রোবট বন্ধু

আবু হাসান
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ পিএম

রোবট বন্ধু। ছবি: ভোরের কাগজ
হাসিব খুবই কৌতূহলী ছেলে। নতুন কিছু দেখলেই জানতে চায়, কীভাবে সেটা কাজ করে। একদিন সে তার বাবার কাছে জানতে চাইল, "বাবা, রোবটরা কীভাবে কথা বলে আর কাজ করে? বাবা বললেন, রোবট হচ্ছে এক ধরনের যন্ত্র, যা কম্পিউটার প্রোগ্রাম দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তুমি যদি চাও, আমরা মিলে একটা ছোট্ট রোবট বানাতে পারি!" হাসিবের চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠল। "আসলেই? আমি কি রোবট বানাতে পারব?
বাবা মুচকি হেসে বললেন, হ্যাঁ, একটু মনোযোগ দিলে তুমি পারবে। বাবা হাসিবকে কয়েকটা বৈজ্ঞানিক কিট এনে দিলেন। সেখানে ছোট ছোট মোটর, সেন্সর, আর প্রোগ্রামিং বোর্ড ছিল। হাসিব প্রথমে কিছুটা ঘাবড়ে গেল, কিন্তু বাবার সাহায্যে ধীরে ধীরে সে বুঝতে শিখল, কীভাবে রোবট চলে আর কীভাবে কম্পিউটারের নির্দেশ মেনে কাজ করে।
বাবা রাফিকে বললেন, "প্রথমে আমরা একটা সাধারণ রোবট বানাব, যেটা সামনের দিকে হাঁটবে। এরপর আমরা এটাকে আরও উন্নত করে তোলার চেষ্টা করব।" হাসিব আর তার বাবা সারাদিন ধরে কাজ করল। হাসিব প্রোগ্রামিং শিখল—যেমন কীভাবে কোড লিখলে রোবট চলবে। সে মোটরের তারগুলো সঠিকভাবে লাগিয়ে দিল আর সেন্সরগুলো এমনভাবে বসালো, যাতে রোবট সামনে কোনো বাধা পেলে থেমে যায়। কয়েকদিন পর হাসিবের রোবট তৈরি হলো। সে রোবটকে নাম দিল রোবু। রোবু হাসিবের সামনে সামনে হাঁটতে লাগল আর কোনো কিছু সামনে এলে থেমে যেত। হাসিব খুব খুশি হয়ে গেল।
একদিন হাসিব স্কুলে রোবু নিয়ে গেল। ক্লাসের সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে রোবটটা দেখল। শিক্ষকেরা বললেন, বাহ, হাসিব! তুমি তো অনেক কিছু শিখে ফেলেছো! বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি নিয়ে তোমার এই আগ্রহটা সত্যিই প্রশংসনীয়।
হাসিব হাসল। সে ভাবল, বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি দিয়ে সত্যিই অনেক মজার কাজ করা যায়। আমি একদিন আরও বড় রোবট বানাব, যা মানুষের কাজে আসবে। এইভাবেই হাসিবের রোবট বানানোর শখ দিন দিন বাড়তে লাগল, আর সে আরও বেশি করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে শিখতে শুরু করল। একদিন সে সত্যিই বড় একজন বিজ্ঞানী হবে এই স্বপ্ন নিয়ে সে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখতে থাকে।