শেষের ধসে রংপুরকে জয় ‘উপহার’ খুলনার

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে টানা ৬ ম্যাচ জিতে আগেই চমকে দিয়েছিল রংপুর রাইডার্স। ঢাকা পর্বের প্রথম অংশের পর সিলেটেও জয়ের স্রোত অব্যাহত রাখলো তারা। নিজেদের সপ্তম ম্যাচেও জিতেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। টানা ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে এক পা দিয়ে রাখলো সাইফ-সাইফউদ্দিনরা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানের পুঁজি দাঁড় করায় রংপুর রাইডার্স। জবাবে ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত জয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকলেও ৮ রানের পরাজয়ের স্বাদ নিয়েই মাঠ ছেড়েছে খুলনা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল খুলনা। পাওয়ারপ্লের প্রথম ৬ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছিল তারা। শেষ দুই ওভারে নাহিদ রানা ও জিয়াউর রহমানের ওপর তাণ্ডব চালান মেহেদী হাসান মিরাজ।
দ্বিতীয় উইকেটে ৪৩ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন মিরাজ ও নাঈম শেখ। তবে ৩৯ রানে মিরাজ প্যাভিলিয়নে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। অন্যপ্রান্তে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন নাঈম।
এরপর আফিফের সঙ্গে ২২ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়ে ৫৮ করে বাঁহাতি এ ওপেনার সাজঘরে ফেরেন। যেখান থেকে অঙ্কনকে সঙ্গে নিয়ে কাজটা আরো সহজ করে রেখেছিলেন আফিফ। তবে ১৫ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে আফিফ ফিরলে পথ হারায় খুলনা।
এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত ছিলেন খুলনার ব্যাটাররা। শেষমেশ ৯ উইকেটে ১৭৮ রানে থামে দলটি। এতে ৮ রানে জয় পায় রংপুর।
রংপুরের আকিফ জাভেদ তিনটি এবং শেখ মেহেদী হাসান ও সাইফউদ্দিন দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুর রাইডার্সের। দলীয় ১৯ রানে আবু হায়দার রনির বলে বোল্ড হয়ে ৮ বলে ১৩ রান করে ফেরেন ওপেনার স্টিভেন টেলর।
তিনে নেমে হাসান মাহমুদের ইয়র্কারে পরাস্ত হয়ে ১১ বলে ৭ রান করে ফেরেন সাইফ হাসান।
পাওয়ারপ্লেতে রাইডার্সদের একপ্রান্ত ধরে রেখেছিলেন ওপেনার তৌফিক খান। তবে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৩০ বলে ৩৬ করে আবু হায়দারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনিও।
চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়েন দুই পাকিস্তানি খুশদিল শাহ আর ইফতিখার আহমেদ। তাদের মারকুটে ব্যাটিংয়ে দলীয় একশ পেরোয় রংপুর। ইনিংসের ১৫তম ওভারে ৪ বলে নাসুম আহমেদকে ৪ ছক্কা হাঁকানো খুশদিল ২২ বলেই হাফ-সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন।
শেষদিকে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ইফতিখারকে ফিরিয়ে ১১৩ রানের এই জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। ৩৬ বলে ৪৩ রান করে ফেরেন ইফতিখার। আর ৩৫ বলে খুশদিলের ৭৩ রানের ইনিংসে লড়াকু পুঁজি পায় রংপুর।
খুলনার আবু হায়দার রনি আর হাসান মাহমুদ দুটি করে উইকেট নেন।