হ্যাটট্রিক জয়ে সেরা দুইয়ে চিটাগং কিংস

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
খুলনা টাইগার্সের কাছে হেরে বিপিএলের চলতি আসরে যাত্রা শুরু করেছিল চিটাগং কিংস। কিন্তু দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে হ্যাটট্রিক জয়ের স্বাদ নিয়েছে বন্দরনগরীর দলটি। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে সিলেটকে ৩০ রানে হারিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে মোহাম্মদ মিথুনের দল। ৪ ম্যাচে চট্টগ্রামের পয়েন্ট ৬। অন্যদিকে এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্টে নেট রানরেটে পিছিয়ে তিনে ফরচুন বরিশাল।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান সংগ্রহ করে চিটাগং। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানে থামে সিলেটের ইনিংস।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন পল স্টার্লিং। দলের হাল ধরতে পারেননি আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও। ৯ বলে ৭ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।
তিনে নেমে জাকির হাসান-ও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলীয় ৩৬ রানে ১৯ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন জাকির। এ ছাড়া অ্যারন জোন্সও ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি। ফেরার আগে ১৮ বলে ১৫ রান করেন মার্কিন এই ব্যাটার।
এরপর জাকের আলীকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করেছিলেন জর্জি মানসি। তবে হাফ-সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর আর থিতু হতে পারেননি। ৩৬ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পরের বলেই আউট হন মানজি (৫২)।
এরপর জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে ভালো কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন আরিফুল ইসলাম। তবে আলিস আল ইসলামকে রাউন্ড দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সিলেটের অধিনায়ক।
অধিনায়কের বিদায়ের পর লড়াই জিইয়ে রেখেছিলেন জাকের। কিন্তু তার ২৩ বলে অপরাজিত ৪৭ কেবল ব্যবধান কমিয়েছে। শেষমেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৩ রানে থামে সিলেটের ইনিংস।
চিটাগংয়ের হয়ে মোহাম্মদ ওয়াসিম ২৫ রানে তিনটি আর আলিস আল হাসান ৩৬ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে উসমান খান ভালো শুরু পেলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চান্স পাওয়া ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের ১০ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
দ্বিতীয় উইকেটে গ্রাহাম ক্লার্ককে সঙ্গে নিয়ে ৩৯ বলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন উসমান। তবে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার দুই বল পরেই ৫৩ রান করে ফেরেন উসমান। অন্যপ্রান্তে ২৮ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর ৩৩ বলে ৬০ রান করে ফেরেন ক্লার্ক।
এরপর ১ রান করে শামীম আউট হলে চিটাগংয়ের হাল ধরেন হায়দার আলি। শেষদিকে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১৮ বলে ৪২ রান করে দলীয় সংগ্রহ ২০৩-এ নিয়ে যান হায়দার। এ ছাড়া ১৯ বলে ২৮ রান করেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন।
সিলেটের হয়ে তানজিম দুটি উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়া নাহিদুল ইসলাম, রুয়েল মিয়া ও আরিফুল হক একটি করে উইকেট নেন।