সাকিব ছাড়াও বোলিং নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন যেসব বাংলাদেশি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৭ এএম

ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় আবারো অনাকাঙ্ক্ষিত বোলিং নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে এবং চেন্নাইতে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় পাস করতে না পারায় তার বোলিং নিষিদ্ধ হয়েছে।
অ্যাকশনের ত্রুটি শোধরাতে না পারায়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব এখন আর বোলিং করতে পারবেন না। এটি অবশ্য প্রথম ঘটনা নয়, এর আগে ২০১৯ সালে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব প্রকাশ না করার কারণে সাকিবকে আইসিসি দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। তবে এবার তিনি বোলিংয়ের ত্রুটির কারণে সমস্যায় পড়েছেন। এর ফলে, এখন থেকে সাকিব কেবল ব্যাটারের ভূমিকাতেই ক্রিকেট খেলতে পারবেন।
এর আগে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বপ্রথম প্রশ্নবিদ্ধ বোলিংয়ের অভিযোগ ওঠে সাবেক বাঁ-হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। ২০০৮ সালের নভেম্বরে ঢাকায় বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের টেস্ট চলাকালে আম্পায়ার ড্যারিল হারপার ও অসোকা ডি সিলভা রাজ্জাকের একটি ডেলিভারি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পরীক্ষায় ত্রুটি ধরা পড়ায় রাজ্জাকের বোলিং নিষিদ্ধ করা হয়। তবে পরের বছরের মার্চে তিনি অ্যাকশন শোধরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং শুরু করেন।
এছাড়া, সোহাগ গাজীর নামও এই তালিকায় রয়েছে। ২০১৪ সালের অক্টোবরে তার ডানহাতি বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেন। এছাড়া, ২০১৪ সালে আরো এক টাইগার বোলার, ডানহাতি পেসার আল-আমিন হোসেনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে, ওই বছরের নভেম্বরে প্রথম পরীক্ষাতেই তিনি উৎরে যান।
২০১৬ সালের মার্চে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হন। পরবর্তীতে, একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তারা চেন্নাইয়ের শ্রী রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষায় অংশ নেন এবং সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর আবারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং শুরু করেন।
তবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং অ্যাকশন ‘অবৈধ’ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়া ক্রিকেটারদের সংখ্যা কম নয়। বোলিংয়ে ত্রুটি ধরা পড়ার পর অনেক বোলারই তাদের পুরোনো ছন্দে ফিরতে পারেননি। এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য ক্রিকেটাররা হলেন- পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতার, সাঈদ আজমল, মোহাম্মদ হাফিজ, সুনীল নারিন, জোহান বোথা, কেইন উইলিয়ামসন, শেন শিলিংফোর্ড, সচিত্র সেনানায়েক এবং মার্লন স্যামুয়েলস।