মাহমুদউল্লাহ-তানজিমের রেকর্ড জুটিতে মান বাঁচানো পুঁজি বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম
-675877cc8ba34.png)
ছবি: সংগৃহীত
পাওয়ার প্লে'তে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। এরপর দ্রুতই আরো ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটি আর তানজিমের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সেন্ট কিটসের বাসেটেরের ওয়ার্নার পার্কে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ দশমিক ৫ ওভারে ২২৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৯২ বলে সবোর্চ্চ ৬২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ব্যাটিংয়ে নেমে দেখেশুনেই শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। অভিষিক্ত মারকুইনো মাইন্ডলির করা তৃতীয় ওভারে চড়াও হয়েছিলেন তানজিদ। দুই ছক্কা আর এক চারে ১৮ রান নেন এই ওপেনার।
কিন্তু দারুণ শুরুর পরের ওভারেই ছন্দপতন লাল-সবুজ শিবিরে। জেইডেন সিলসকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড-অনে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য। সহজ ক্যাচ নেন গুড়াকেশ মোতি। ফেরার আগে ৫ বলে ২ রান করেন এই ওপেনার।
সৌম্যর বিদায়ের পর লিটনকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান তামিম। তবে অপরপ্রান্তে রান বের করতে পারছিলেন না উইকেটকিপার এই ব্যাটার। ধৈর্যও হারিয়ে ফেলেছিলেন। বাউন্সার পেয়েই পুল করতে গিয়েছিলেন। তবে ঠিকমতো ব্যাটে পাননি। বল ব্যাটের মাথায় লেগে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে এভিন লুইসের মুঠোবন্দি। ১৯ বলে ৪ রান করে ফেরেন লিটন।
তার বিদায়ে পর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন তিনি।
মিরাজের পর সাজঘরের পথ ধরেন তামিমও। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রোস্টন চেজকে ক্যাচ শিখিয়ে ৩৩ বলে ৪৬ রান করে আউট হন এই ওপেনার।
পঞ্চম উইকেটে আফিফ ও রিয়াদ মিলে বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে বাংলাদেশের রান ১০০ ছুঁতেই ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ এক শট খেলে আউট আফিফ। গুড়াকেশ মোতিকে স্লগ সুইপ করতে গিয়েছিলেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। মিড অফ ও লং অফের মাঝ বরাবর দৌড়ে সহজ ক্যাচ নেন শেরফান রাদারফোর্ড।
সিরিজ রক্ষার লড়াইয়ে উইকেটে থিতু হতে পারেননি জাকের। মোতির অফ-স্টাম্পের ডেলিভারিটি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা ওপরে উঠে যায়। আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার, তবে রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি জাকেরের। ৯ বলে মাত্র ৩ রান করে বিপর্যয়ের ষোলকলা পূর্ণ করে ফেরেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি রিশাদ।
জাকের ও রিশাদের বিদায়ের পর বিপর্যয়ে আরো একবার ক্রাইসিসম্যান হয়ে ওঠার সুযোগ আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সামনে। দারুণভাবেই সেই সুযোগটা নেন মিস্টার সাইলেন্টকিলার। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে হাফ-সেঞ্চুরিও তুলে নেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ৮৪ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। ওয়ানডেতে তার ৩১তম হাফ-সেঞ্চুরি এটি। তবে ফিফটির পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি তিনি। ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৯২ বলে ৬২ রানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। ৪৫তম ওভারের প্রথম বলে সিলসকে পয়েন্টে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন।
এর আগে, ধ্বংসস্তূত থেকে ৯২ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম। তবে রোস্টন চেজকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ৬২ বলে ৪৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ফেরেন পেস অলরাউন্ডার সাকিব। ওয়ানডেতে ৮ম উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড রানের জুটি এটি।
শেষ উইকেটে ১০ বলে ১৮ রানের জুটি গড়েন শরীফুল ও নাহিদ রানা। তবে শরীফুল আউট হলে ৪৫ দশমিক ৫ ওভারে ২২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জায়ডেন সিয়েলস চারটি উইকেট নেন।